‘জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন কাউন্সিলররা’
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি পদে নির্বাচন করেছেন শফিকুল ইসলাম মানিক। নির্বাচনে রীতিমতো ভরাডুবি হয়েছে সাবেক এই তারকা ফুটবলারের। বাফুফের সভাপতি পদে নির্বাচন করে মাত্র ১টি ভোট পেয়েছেন তিনি। যা তাকে রীতিমতো হতাশ করেছে। ফল জানার পর কাউন্সিলরদের ওপর ক্ষোভ ঝারলেন তিনি।
বাফুফে সভাপতি পদে তিনজন নির্বাচন করেছেন। এই পদে ভোট জমা পড়েছে ১৩৫টি। সর্বোচ্চ ৯৪ ভোট পেয়ে চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাদল রায় পেয়েছেন ৪০ ভোট। মানিকের পক্ষে রায় দিয়েছেন মাত্র একজন কাউন্সিলর। যা কোনোভাবেই মানতে পারছেন না তিনি। মানিকের দাবি, জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন কাউন্সিলররা।
কাউন্সিলরদের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শফিকুল ইসলাম মানিক। তার মতে কাউন্সিলরদের আগেও কোনো দায়বদ্ধতা ছিল না, এখনও নেই। তিনি বলেন, 'এই ফল অনাকাঙ্ক্ষিত। সম্মানিত কাউন্সিলররা ভোটিংয়ের মাধ্যমে যে ফল দিয়েছেন, আমি মনে করি তাদের দায়বদ্ধতা আগেও ছিল না। ফুটবলের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন কাউন্সিলররা।'
বাফুফে নির্বাচনে যে ফল এসেছে, এর পেছনে অনেক কারণ আছে বলে মনে করেন তিনি। ক্ষুব্ধ মানিক বলেন, 'সবার কাছ থেকে যে আশ্বাস পেয়েছি, আশানুরূপ ফল হয়নি অবশ্যই। আমি মনে করি, এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, গতকাল রাতে অনেক ঘটনা ঘটেছে।'
'যেমন, বাদল রায়ের প্রত্যাবর্তন। বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করা হয়েছে কাউন্সিলরদেরকে। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু এই ভোটগুলো গেল কোথায়। তারা নিশ্চিত করেছিল আমাকে। কিন্তু আমি পয়সা দেইনি বলে, ভোট দেয়নি আমাকে? তাই আমার মতে, এই ফল প্রত্যাশিত না।' যোগ করেন তিনি।
সভাপতি নির্বাচিত হলেও জনগণের রায় কাজী সালাউদ্দিনের বিপক্ষে, এমন দাবি করে জাতীয় দলের সাবেক এই কোচ আরও বলেন, 'সালাউদ্দিন ভাইয়ের বিপক্ষে জনগণের রায়। তাই বলব, আশার বিপক্ষে একটি রায় হয়েছে। জনগণ চাচ্ছে পরিবর্তন। কাউন্সিলররা উপর থেকে বলেছে যে, তারা পরিবর্তনে বিশ্বাসী।'
'কিন্তু অন্তর দিয়ে তারা যে পরিবর্তনে বিশ্বাসী নয়, তারই বহিঃপ্রকাশ এই ফল। ফুটবল উন্নয়নে কী কাজ করবে তা কাউন্সিলরদের দায়িত্ব। আগামী চার বছর ফুটবলের জন্য তাদের দায়বদ্ধতা সবচেয়ে বেশি থাকবে। ফেডারেশন থেকে কাউন্সিলরদের দায়বদ্ধতা বেশি।'
নির্বাচনের আগে মানিক জানিয়েছিলেন, হেরে গেলে কোচিংয়ে ফিরে যাবেন তিনি। এ বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলেননি তিনি, 'আমি ফুটবলের লোক। পরাজয় হলে, ফাইনালে হেরে গেলে, পরের দিনই আমাকে খেলা নিয়ে ভাবতে হয়। পরের টুর্নামেন্ট নিয়ে ভাবি। এটাই আমাকে করতে হবে।'