ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে বড় পরিসরে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া
ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর ফলে দেশটির পশ্চিম, দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলের ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) কিয়েভের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তারা পশ্চিমের লভিভ, ভলিন, রিভনে এবং খমেলনিৎস্কি অঞ্চল, দক্ষিণে মাইকোলাইভ এবং খেরসন অঞ্চল এবং কেন্দ্রের জাইটোমির অঞ্চলের কর্মকর্তারা জ্বালানি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতির কথা জানিয়েছেন।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা এক্স- এ দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, 'সাধারণ মানুষ এবং জ্বালানি অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে আরেকটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা, যার ফলে ইউক্রেনজুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে।'
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, এটি ছিল মার্চ মাসের পর থেকে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর ১১তম বড় আক্রমণ। রাশিয়া ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রায় অর্ধেক ক্ষমতা ধ্বংস করেছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার ক্ষতি করেছে এবং বিদ্যুৎ অবকাঠামোর দীর্ঘমেয়াদী ক্ষয়ক্ষতি করেছে।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, বৃহস্পতিবারের আক্রমণে রাশিয়া ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ক্লাস্টার মিউনিশন ব্যবহার করেছে।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, ইউক্রেনীয় আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী ৯১টি রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ৭৯টি এবং ৩৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
জ্বালানি সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানিয়েছে, রুশ হামলার মধ্যেই ইউক্রেন কয়েকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। ইউক্রেন তার বিদ্যুৎ সরবরাহের ৫০% এরও বেশি পারমাণবিক শক্তি থেকে উৎপন্ন করে।
কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, রাজধানী কিয়েভে আক্রমণ করা হয়েছিল, তবে সব ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন ভূপাতিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের আক্রমণ সম্পর্কে মস্কোর পক্ষ থেকে কোনো তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
তবে রাশিয়া সবসময়ই দাবি করেছে, তারা কখনোই বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় না।
ভাবানুবাদ: তাবাসসুম সুইটি