বাংলাদেশে ভারতীয় সব টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের
বাংলাদেশে ভারতীয় সব টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার স্থগিত করার জন্য হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা শাহীন আরা গতকাল সোমবার (২ ডিসেম্বর) এই রিটটি দায়ের করেন।
রিটের বিবাদী হিসেবে তথ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এবং পুলিশের আইজিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, জানিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া।
আইনজীবী ভূইয়া জানান, বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইনের বিভিন্ন উপধারা লঙ্ঘন করে চলেছে। এজন্য তাদের সম্প্রচার বন্ধ চেয়ে রিট করা হয়েছে।
বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শিগগিরই এই বিষয়ে শুনানি হতে পারে বলে জানান তিনি।
ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন ২০০৬ এর ১৯ ও ২০ ধারার ভিত্তিতে এই আবেদন দাখিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়েছে, এই আইনের ১৯ ধারায় উল্লিখিত বিধিনিষেধের আওতায় যেসব অনুষ্ঠান রয়েছে তা সম্প্রচার বা সঞ্চালন করা যাবে না। দেশের অখণ্ডতা, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, রাষ্ট্রীয় নীতির পরিপন্থি অনুষ্ঠান, অশোভন দৃশ্য সংবলিত এমন কোনো অশ্লীল অনুষ্ঠান, সহিংসতা বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে উৎসাহিতকারী অনুষ্ঠান, এবং বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতি অমর্যাদা দেখানো অনুষ্ঠানসহ আরও একাধিক শর্ত রয়েছে এই ধারায়।
আইনে বলা হয়েছে, যেকোনো অনুষ্ঠান যা কোনো সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীর আবেগে আঘাত হানতে পারে বা ১৯৬৩ সালের সেন্সরশিপ অব ফিল্মস অ্যাক্ট বা তার সম্পর্কিত বিধি বা নীতিমালার পরিপন্থী, তা বাংলাদেশে সম্প্রচার করা যাবে না।
জনস্বার্থে কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্কের কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণের ক্ষমতা সংক্রান্ত ২০ ধারায় বলা হয়েছে, সরকার যেকোনো স্থানে, যেকোনো সময়ে, জনস্বার্থে যেকোনো কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্কের কার্যক্রম সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে নিষিদ্ধ করতে পারবে।