আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও প্রভাবশালী দেশের সংসদে বাংলাদেশকে ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে: প্রেস সচিব
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং প্রভাবশালী দেশগুলোর সংসদে বাংলাদেশকে 'ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে'। সেইসঙ্গে তিনি বিপ্লব পরবর্তী সময়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার খবর যাচাই করতে স্বাধীন সংবাদপত্র ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
কেউ কেউ গণমাধ্যমের এসব প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী পাঠানো বা দেশটিতে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।'
শফিকুল আলম বলেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সুশীল সমাজের নেতারা ধর্মীয় ঘটনাবলীর সময় জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিবেদনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সংঘটিত সহিংসতাকে 'পদ্ধতিগতভাবে অতিরঞ্জিত' করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, তারা আশা করেন ধর্মনিরপেক্ষ ও উদারপন্থী সংবাদপত্রগুলো পরিষদের ধর্মীয় সহিংসতার অভিযোগগুলো নিয়ে নিজস্ব তদন্ত করবে। পাশাপাশি হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোও একই ধরনের তদন্ত করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা হয় বলেও স্বীকার করেছেন শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, 'সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিচারে আমরা এখনও আদর্শ দেশ নই। আমরা ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যের খবর পাওয়া যায়।' কথিত ধর্ম অবমাননাকর ফেসবুক পোস্টের কারণে নিয়মিত সহিংসতার ঘটনাও ঘটছে।
প্রেস সচিব বলেন, সম্প্রতি একজন ব্রিটিশ এমপি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে কথা বলেছেন। মনে হয় তিনি কাউন্সিলের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ১ কোটি ১০ লাখেরও বেশি বার বিপ্লবোত্তর হিন্দুদের ওপর হামলার প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমার জানা মতে, শক্তিশালী ও সম্পদশালী হিন্দু আমেরিকান গোষ্ঠী, ভারতীয় জাতীয় ও আঞ্চলিক সংবাদপত্র এবং শীর্ষ ভারতীয় মন্তব্যকারীরা এই রিপোর্ট উল্লেখ করে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা বর্ণনা করতে ব্যবহার করছেন। বিশেষজ্ঞরা আমাকে বলেছেন, ঐক্য পরিষদের প্রতিবেদনগুলো বাংলাদেশে সংখ্যালঘুবিরোধী সহিংসতা নিয়ে ভুল তথ্যের বৃহত্তম উৎস।'