তাসকিন তোপের পর বিজয়-বার্লের ব্যাটে রাজশাহীর দাপুটে জয়
শুরুতেই তোপ দাগলেন ম্যাচসেরা তাসকিন আহমেদ। মাঝ ও শেষ মিলিয়ে আরও শাসন দেখা গেল ডানহাতি এই পেসারের। দুরন্ত বোলিংয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ইতিহাসের সেরা বোলিংয়ের মালিক হয়ে গেলেন দুর্বার রাজশাহীর এই বোলার। এর মাঝেও রানের দেখা পেলেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কয়েকজন ব্যাটসম্যান, তাতে সংগ্রহ ভালোই দাঁড়ায় তাদের। কিন্তু রাজশাহীর অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ও রায়ান বার্লের সামনে তা যথেষ্ট হলো না। বড় রান টপকে দাপুটে জয় তুলে নিলো তারা।
রান তাড়ায় হয়তো প্রথম ম্যাচের কথাও মাথায় ছিল দুর্বার রাজশাহীর। চলমান বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে ১৯৭ রান তুলেও হেয়ে যায় তারা। আজকের পথটা তুলনামূলক ছোট হলেও সেই হারের খেদ যেন তাতিয়ে দিলো দলটিকে। ব্যাট হাতে নেতৃত্ব দিলেন বিজয়, যোগ্য সঙ্গ দিলেন বার্ল। বৃহস্পতিবার মিরপুর শেল বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে দুর্বার রাজশাহী।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে ঢাকা। তাসকিনের তোপের মাঝেও রানের দেখা পান ঢাকার স্টিফেন এসকিনজাই, শাহাদাত হোসেন দিপুরা। অবদান রাখেন অধিনায়ক থিসারা পেরেরা ও শুভম রঞ্জনে। এ কজনের ব্যাটে ৯ উইকেটে ১৭৪ রান তোলে ঢাকা। জবাবে চতুর্থ উইকেটে বিজয় ও বার্লের অবিচ্ছিন্ন শতরানের জুটিতে ১৮.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়েই জয় তুলে নেয় দুর্বার রাজশাহী। বিজয় ও বার্ল দুজনই হাফ সেঞ্চুরি করেন। দুই ম্যাচে রাজশাহীর এটা প্রথম জয়।
লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ১৩ রানেই উইকেট হারায় রাজশাহী, ফিরে যান ওপেনার মোহাম্মদ হারিস। প্রথম ম্যাচের মতো আজও ব্যর্থ হন আরেক ওপেনার জিসান আলম। দলীয় ৩১ রানে সাজঘরে ফেরা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৮ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালানো ইয়াসির আলী রাব্বি আজও ভালো শুরু করেছিলেন, যদিও ইনিংস বড় করতে পারেননি। দলীয় ৭৩ রানে আউট হওয়ার আগে ২০ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ২২ রান করেন তিনি।
এরপর আর চাপ বুঝতে হয়নি রাজশাহীকে। চতুর্থ উইকেটে দারুণ এক জুটি গড়ে দলকে জয় এনে দেন বিজয় ও বার্ল। ৫৬ বলে ১০৬ রানের জুটি গড়েন এ দুজন। উদ্বোধনী ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা বিজয় আজ ৪৬ বলে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৭৩ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন। আরেকটু দ্রুত গতিতে রান তোলা বার্ল ৩৩ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ঢাকার মুস্তাফিজুর রহমান, মকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ও আলাউদ্দিন বাবু একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিং করা ঢাকার পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন শাহাদাত দিপু। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৪১ বলে ৭টি চারে ৫০ রান করেন। ২৯ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৬ রান করেন এসকিনজাই। পেরেরা ২১ ও রঞ্জনে ২৪ রান করেন। আগুনে বোলিং করা ম্যাচসেরা তাসকিন ৪ ওভারে ১৯ রানে ৭টি উইকেট নেন। যা বিপিএলের ইতিহাসের সেরা ও টি-টোয়েন্টির তৃতীয় সেরা বোলিং। মোহর শেখ ও হাসান মাহমুদ একটি করে উইকেট নেন।