ব্যাটিং দুর্দশায় ঘরের মাঠে টানা দ্বিতীয় হার সিলেটের
ঘরের মাঠে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালোই হয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্সের। এই পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ২০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে তারা। ম্যাচ হারলেও ব্যাটিং নিয়ে স্বস্তির জায়গা ছিল। কিন্তু আজকের ম্যাচে বলার মতো কিছুই পেলো না সিলেট। ছোট সংগ্রহ গড়ার পর ফরচুন বরিশালের কাইল মেয়ার্স- তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটিং শাসনে লড়ার আগেই হেরে গেল তারা।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেটকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বরিশাল। চার ম্যাচে এটা তৃতীয় জয় তামিম ইকবালের দলে, ছয় পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুই নম্বর দল তারা। ঢাকার প্রথম পর্বে একটি ম্যাচ হারা সিলেটের এটা টানা তৃতীয় হার, তালিকার ছয় নম্বর দল তারা। চার ম্যাচের সবগুলো হেরে তলানির দল ঢাকা ক্যাপিটালস।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা সিলেট শুরুর ধাক্কা সামলে নিলেও পরে আবার দিক হারায়। যে চাপ কাটিয়ে বড় সংগ্রহ গড়া হয়নি দলটির। বরিশালের জাহানদাদ খান, রিশাদ হোসেনদের তোপের মুখে ১৮.২ ওভারে ১২৫ রানে অলআউট হয় সিলেট। তাদের কেবল চারজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করেন, সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক আরিফুল হক। জবাবে মেয়ার্স ও হৃদয়ের শতরানের জুটিতে ১০৩ ওভারেই জিতে যায় বরিশাল। ৫৭ বল হাতে রেখে জেতে বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
যদিও লক্ষ্য তাড়ায় বরিশালের শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। প্রথম বলেই ফিরে যান অধিনায়ক তামিম, সিলেটের ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার রাকিম কর্নওয়ালের বলে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন তিনি। নিজের ছায়া হয়ে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তও বিদায় নেন পরের ওভারে। ৬ রানে ২ উইকেট হারানো দলকে পথ দেখিয়ে আলোতে নিয়ে যান মেয়ার্স ও হৃদয়।
তাদের জুটিতে জয়ের একেবারে কাছে চলে যায় বরিশাল। তৃতীয় উইকেটে মেয়ার্স-হৃদয় ১১৬ রানের জুটি গড়েন। জয় থেকে চার রান দূরে থাকতে আউট হন হৃদয়, এর আগে ২৭ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন তিনি। হার না মানা ইনিংস খেলা মেয়ার্স ৩১ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫৯ রান করেন। সিলেটের তানজিম হাসান সাকিব ২টি ও রাকিম কর্নওয়াল একটি উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিং করা সিলেটের অগোছালো ইনিংসে অধিনায়ক আরিফুল হক সর্বোচ্চ অবদান রাখেন। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ২৯ বলে একটি চার ও ৩টি ছক্কায় ইনিংস সেরা ৩৬ রান করেন। রাকিম ১৮, জাকির হাসান ২৫ ও জর্জ মানজি ২৮ রান করেন। এ ছাড়া সিলেটের আর কোনো ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। দারুণ বোলিং করা রিশাদ ৪ ওভারে ১৫ রানে ৩টি উইকেট নেন। জাহানদাদেরও শিকার ৩ উইকেট, ৩ ওভারে তার খরচা ১৮ রান। ফাহিম আশরাফ ২টি এবং মেয়ার্স ও শাহিন আফ্রিদি একটি করে উইকেট পান।