বড় ও মাঝারি শিল্প খাতের রুগ্ণ প্রতিষ্ঠান গুটিয়ে নেওয়ার এক্সিট পলিসি চান ব্যবসায়ীরা
বাংলাদেশ চেম্বার অভ ইন্ডাস্ট্রিজ ও ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ রোববার (১২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বড় ও মাঝারি শিল্প খাতের রুগ্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক খাতের দায়দেনা মুক্তির জন্য এক্সিট পলিসি চেয়েছেন।
একইসঙ্গে ঋণ শ্রেণিকরণ নীতিমালা এখনই আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী না করে আগামী এক বছরের জন্য তারা বিদ্যমান সুবিধা বহাল চাচ্ছেন।
ব্যবসা ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যাগুলো জানাতে বাংলাদেশ চেম্বার অভ ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি ও ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ গভর্নরের কাছে মোট নয় ধরনের সুবিধা চেয়েছেন।
বৈঠক শেষে বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম বলেন, 'একদিকে সরকার ভ্যাট ও কর বৃদ্ধি করছে অন্যদিকে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বেড়েই যাচ্ছে। এছাড়া শ্রমিকদের বেতন বাড়াতে হচ্ছে। এরইমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ শ্রেণিকরণ আরও জটিল করেছে। এভাবে আমাদের সুবিধাগুলো তুলে নেওয়া হলে আমাদের ব্যবসা করা খুবই কঠিন হবে। তাই আমরা নীতিগত কিছু সুবিধা চেয়েছি।'
আনোয়ার-উল আলম আরও বলেন, 'বাংলাদেশে বিদ্যমান রুগ্ণ শিল্প প্রতিষ্ঠান কীভাবে অবসায়ন হবে, তার স্পষ্ট কোনো নীতিমালা নেই। আমরা গভর্নরের কাছে বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর এক্সিট নীতিমালা চেয়েছি।'
তিনি বলেন, 'বিদ্যমান বড় শিল্প খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো এখন রুগ্ণ অবস্থায় রয়েছে। সেসব প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে মাত্র ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে এক বছরের মনিটোরিয়াম সুবিধাসহ আগামী ১২ বছরে পরিশোধের সুবিধা চেয়েছি।'
এছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে রুগ্ণ প্রতিষ্ঠানের এক্সিট পলিসির ক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যাংক দায়ের ১ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট, ১ বছরের মনিটোরিয়ামসহ ১৫ বছর মেয়াদে পরিশোধের সুবিধা চেয়েছেন বলেও জানান তিনি।
একটি প্রতিষ্ঠান এক্সিট সুবিধা নিয়ে পরবর্তীতে কীভাবে ব্যাংকের দায় পরিশোধ করবে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ার-উল আলম সাংবাদিকদের বলেন, 'একজন ব্যক্তির একাধিক প্রতিষ্ঠান থাকে। সব প্রতিষ্ঠানই একসাথে খারাপ হয়ে যায় না। যে প্রতিষ্ঠান রুগ্ণ হয়েছে তার দায় পরিশোধের জন্য তার অন্য ভালো প্রতিষ্ঠানের আয়ের মাধ্যমে ব্যাংকের দায় পরিশোধ করবে।'
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্যাকেজের শর্ত অনুযায়ী ঋণ শ্রেণিকরণে নতুন নিয়ম চালু করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নিয়ম অনুসারে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে, তিন মাস মেয়াদোত্তীর্ণ থাকার পর সব ধরনের ঋণকে খেলাপি ঋণ হিসেবে শ্রেণিকরণ করা হবে। বর্তমানে এ সময়সীমা ছয় মাস।