গাজায় কার্যকর হলো ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি
প্রায় তিন ঘণ্টা বিলম্বের পর আজ রোববার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে।
আজ সকাল সাড়ে ৮টায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও—হামাস মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদের নামের তালিকা সরবরাহ না করা পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি শুরু হবে না বলে জানিয়ে দেয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। উল্টো এই সময়ের পর গাজায় হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এ হামলায় অন্তত ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হন।
তবে হামাস তিন বন্দীর নাম ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করার পর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আন্সারি এক বিবৃতিতে বলেন, 'গাজায় যুদ্ধবিরতি কখন শুরু হবে—এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে আমরা নিশ্চিত করছি যে আজ মুক্তি পেতে চলা তিন বন্দীর নাম ইসরায়েলি পক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।'
'তারা তিনজন ইসরায়েলি নাগরিক, তাদের মধ্যে একজন রোমানিয়ান এবং একজন ব্রিটিশ নাগরিক। এর মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে', যোগ করেন তিনি।
ইসরায়েলও নিশ্চিত করেছে, তারা চুক্তির প্রথম দিনে মুক্তি পাবে এমন তিনজন বন্দীর নাম পেয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম দিনে তিনজন ইসরায়েলি বন্দী এবং প্রায় ৯৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানিয়েছে, গাজায় আটক তিন বন্দী স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় মুক্তি পাবেন, এবং আরও চারজন আগামী সাত দিনের মধ্যে মুক্তি পাবেন।
এই ছয় সপ্তাহের প্রাথমিক যুদ্ধবিরতির আওতায়, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার কেন্দ্র থেকে ধীরে ধীরে সরে যাবে এবং উত্তর গাজায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ফিরিয়ে আনা হবে।
চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির সময় প্রতিদিন ৬০০ ট্রাক মানবিক সাহায্য গাজায় পাঠানো হবে, যার মধ্যে ৫০টি ট্রাক জ্বালানি বহন করবে এবং ৩০০টি ট্রাক উত্তর গাজায় যাবে—যেখানের বাসিন্দারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৪৬ হাজার ৮৯৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১০ হাজার ৭২৫ জন আহত হয়েছে। একই দিনে হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশি মানুষ বন্দী হয়।