‘নগদ’-এর ২,৩৫৬ কোটি টাকা দুর্নীতি ও পাচারের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুদক
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/12/20/nagad_new_logo_1_0.jpg)
বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস 'নগদ' প্ল্যাটফর্মের প্রায় ২ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকার দুর্নীতি ও পাচারের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে নগদ- এর কার্যালয়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন, দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রুহুল হক। অভিযানে অংশ নেয়া দুদক কর্মকর্তারা জানান, নগদের বিরুদ্ধে ৬৪৫ কোটি টাকার অতিরিক্ত ই-মানি তৈরি ও ১ হাজার ৭১১ কোটি টাকার তহবিল সরিয়ে নেয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ অভিযান চালায় দুদক।
অভিযানের বিষয়ে টিম লিডার মো. রুহুল হক টিবিএসকে বলেন, 'তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে— তার প্রাথমিক সত্যতা আমরা পেয়েছি।'
এ বিষয়ে নগদ- এ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিযুক্ত প্রশাসক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান দিদার গণমাধ্যমকে বলেন, 'নগদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ই-মানি তৈরি করা, ফান্ড সরিয়ে নেয়া এবং শেয়ার হোল্ডিং নিয়ে কিছু স্ক্যাম আছে। প্রাথমিকভাবে ১,৭০০ কোটি টাকা পাচার ও ৬০০ কোটি টাকার ই-মানি সংক্রান্ত অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে।'
অভিযানে অংশ নেওয়া দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ বলেন, 'ডাক অধিদপ্তরের সাথে নগদের যে সম্পর্ক, এটায় ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে কিনা সেটা আমরা দেখব। ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড ও হংকংভিত্তিক কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার নগদ এ রয়েছে। এর মাধ্যমে মানি লন্ডারিং হয়েছে কিনা— সেটা আমরা তদন্ত করব। আমরা নথিপত্র সংগ্রহ করেছি। যাচাই-বাছাই করে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করব।'