শিক্ষক-সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ নারী শিক্ষার্থী বহিষ্কার
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/13/chittagong_university.jpg)
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শেখ হাসিনা হলে শিক্ষক-সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ১০ নারী শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় উপাচার্যের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স, হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, 'জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. কোরবান আলীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা এনায়েত ইমিকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি তার একাডেমিক সার্টিফিকেট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।'
তিনি আরও বলেন, 'শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে আরও ৯ শিক্ষার্থীকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।'
প্রক্টর বলেন, 'ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে দুই বছর এবং আরেকজন নারী শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের আনুষ্ঠানিক তালিকা রাতে প্রকাশ করা হবে।'
প্রসঙ্গত, গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলে একদল শিক্ষার্থী 'নৌকা প্রতীক' ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ম্যুরাল ভাঙচুর করার চেষ্টাকালে এ ঘটনা ঘটে। এসময় হলের নারী শিক্ষার্থীরা তাদের বাধা দেন এবং একপর্যায়ে ছাত্রীদের সঙ্গে তাদের বচসা বাধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হস্তক্ষেপ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম।
এ সময় আফসানা এনায়েত ইমি সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. কোরবান আলীকে আঘাত করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ওই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের দাবি ওঠে। ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।