ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ফ্রিডম অ্যাওয়ার্ড পেলেন শহিদুল আলমসহ চার সাংবাদিক
দেশের বিখ্যাত আলোকচিত্রী, সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলম ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ফ্রিডম অ্যাওয়ার্ড ২০২০- এ ভূষিত হয়েছেন। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অকুতোভয় সাংবাদিকতার জন্য তিনি পুরস্কারটি পান। তার সঙ্গে পুরস্কৃত হয়েছেন ইরান, নাইজেরিয়া ও রাশিয়ার আরও তিন সাংবাদিক।
পুরস্কারটি দিয়েছে বিশ্বব্যাপী মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় কাজ করা- দ্য কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। ১৯ নভেম্বর নিউইয়র্ক সময় রাত ৮টায় (বাংলাদেশ সময় আজ শুক্রবার ২০ নভেম্বর সকাল ৭টা) বাংলাদেশের শহিদুল আলম, ইরানের মোহাম্মদ সায়েদ, নাইজেরিয়ার দাপো ওলোরুনিওমি ও রাশিয়ার স্ভেৎলানা প্রোকোপেভা যৌথভাবে পুরস্কারটি পান।
এই উপলক্ষে শুক্রবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সিপিজে। আয়োজনের প্রতিপাদ্য 'সাংবাদিকতা এখন আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবাদকর্মীর প্রতি সহমর্মিতা অন্য যেকোনো সময়ের চাইতে বেশি দরকারি।'
এনবিসি চ্যানেলের সাংবাদিক লেস্টার হল্ট অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করেন। সেখানে মার্কিন অভিনেত্রী মেরিল স্ট্রিপও অংশ নেন। এসময় মেরিল বলেন, 'সাংবাদিকরা সত্যের সন্ধান করেন বলেই তাদের আক্রমণের শিকার হতে হয়।'
পদকপ্রাপ্ত শহিদুল আলম দেশের বিখ্যাত মাল্টিমিডিয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- পাঠশালা মিডিয়া ইনস্টিটিউড এবং দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা। তার অনেক ছাত্র দেশ-বিদেশে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।
অনেকেই তাদের শিল্পকাজের জন্য পেয়েছেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
২০১৮ সালে নিরাপদ সড়ক নিয়ে ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আল জাজিরাকে একটি সাক্ষাৎকার দেন শহিদুল। এরপরেই তাকে মিথ্যে প্রচারণা চালানোর দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে এনিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। তার মুক্তির দাবিতে বিবৃতি দেন নোয়াম চমস্কি, অরুন্ধতী রায়সহ অনেক প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী।
কারামুক্তি পাওয়ার পর আল জাজিরাকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে শহিদুল জানান, নাগরিক কর্তব্য পালনে তিনি সাংবাদিকতাকে একটি উপযুক্ত মাধ্যম বলেই মনে করেন। সেই উপলদ্ধি থেকেই তিনি সত্য প্রকাশে কাজ করে চলেছেন।