সাকিব-মাহমুদউল্লাহদের দলে মাশরাফি
লটারিতে নির্ধারণ হলো মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে জেমকন খুলনার হয়ে খেলবেন বাংলাদেশের ওয়ানডের সফলতম এই অধিনায়ক। রোববার বিকাল ৫টায় বিসিবি কার্যালয়ে লটারি অনুষ্ঠিত হয়। লটারি ভাগ্য খুলনার পক্ষে গেছে। শনিবার সকালে ফিটনেস টেস্ট দিয়ে পাস করেন মাশরাফি। সোমবার থেকেই খুলনার জার্সিতে খেলতে পারবেন তিনি। মাশরাফির গ্রেড বা তার পারিশ্রমিক কতো হবে, বিসিবির পক্ষ থেকে তা এখনও জানানো হয়নি।
হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট থাকায় বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্লেয়ার্স ড্রাফটে নাম ছিল না মাশরাফির। তবে মাশরাফির খেলার পথ খোলা রেখেছিল বিসিবি। দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়েছিল, চাইলে ড্রাফটের বাইরে থেকে কোনো দল তাকে দলে নিতে পারবে। একাদিক দল আগ্রহ প্রকাশ করলে লটারি করা হবে। লটারিতেই নিষ্পত্তি হলো মাশরাফির দল নির্বাচনের বিষয়টি। চারটি দল লটারিতে অংশ নিয়েছিল।
চলতি বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে সবচেয়ে তারকাবহুল দল জেমকন খুলনা। প্রথম ডাকেই সাকিব আল হাসানকে দলে ভেড়ায় তারা। বিপিএলের কয়েকটি আসরে খুলনা টাইটান্সকে নেতৃত্ব দেওয়া পরীক্ষিত সৈনিক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিতেও দ্বিধা করেনি দলটি। এবার মাশরাফিকেও দলে ভেড়ালো খুলনা। চলতি আসরে খুলনাই একমাত্র দল, যারা ১৭ জন থেকে একাদশ গড়তে পারবে। বাকি চার দলে ১৬ জন করে ক্রিকেটার আছেন।
ফিট হয়ে ওঠায় মাশরাফিকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায় কয়েকটি দল। তাকে দলে নিতে প্রথম দল হিসেবে বিসিবির কাছে আবেদন করে ফরচুন বরিশাল। এরপর আবেদন করে জেমকন খুলনা। শনিবার মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী বিসিবি বরাবর আবেদন করে। চতুর্থ দল হিসেবে বেক্সিমকো ঢাকাও সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ককে দলে নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহের কথা জানায়।
ফিটনেসের কারণে নিজে থেকেই বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে না খেলার সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে ফেরার কথা ছিল তার। এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে মাস খানেক আগে থেকে অনুশীলন শুরু করেন ডানহাতি এই পেসার। কিন্তু অনুশীলনে রানিংয়ের সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান তিনি। এরপর থেকে বিশ্রামে ছিলেন মাশরাফি। চোট কাটিয়ে গত মঙ্গলবার থেকে আবারও মাঠের লড়াইয়ে ফেরার প্রস্তুতি শুরু করেন তিনি।