চসিক নির্বাচন: আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত ২
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে পৃথক সংঘর্ষে দু'জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
সকাল সাড়ে দশটার দিকে নগরের পাহাড়তলীতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ওয়াসিম উদ্দিন ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী মাহমুদুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে এক কর্মী নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম আলাউদ্দিন।
নিহত আলাউদ্দিন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী মাহমুদুর রহমানের অনুসারী ছিলেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (সিএমসিএইচ) পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নগরীর বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী সহিংসতায় কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। দুপুর ১২ টা পর্যন্ত আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার।
সংঘর্ষের পর বঙ্গবন্ধু বাংলা স্কুল কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ প্রায় এক ঘন্টা স্থগিত ছিল বলে জানান সে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার।
অন্যদিকে সকালে নগরীর ১২নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর দ্বন্দ্বে আপন ভাইয়ের হাতে খুন হয়েছেন নিজাম উদ্দিন মুন্না নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী।
সকাল ৮টার দিকে বার কোয়াটার ডায়মন্ড টার্চ কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পাহাড়তলী থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল হক, হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত যুবক মুন্না ১২ নম্বর ওয়ার্ডের (সরাইপাড়া) আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী সাবের আহমদের কর্মী ছিলেন। তার ভাই হত্যাকারী সালাউদ্দিন কামরুল একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আমিনের কর্মী। নির্বাচন নিয়ে দুইভাইয়ের মধ্যে কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছিল। আজ সকালে ভোট শুরুর আগেই দুজনের মধ্যে তুমুল ঝগড়া শুরু হলে মুন্নাকে ছুরিকাঘাত এবং গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় কামরুল। পুলিশ মুন্নার লাশ উদ্ধার করেছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আজ সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ প্রায় ১০ মাস স্থগিত থাকার পর বুধবার অবশেষে অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন।
সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নগরীর প্রায় সাড়ে ১৯ লাখ মানুষ ইভিএমের মাধ্যমে ভোট দিয়ে তাদের নগর পিতা নির্বাচন করতে চলেছেন।