অনলাইনে শুরু হয়েছে করোনার টিকার জন্য নিবন্ধন
আজ থেকে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে কোভিড-১৯ টিকার জন্য নিবন্ধন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আজ থেকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী সুরক্ষা এ্যাপে (surokkha.gov.bd) কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশনের জন্য আবেদন করতে পারবে- সকল সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী, বীরমুক্তিযোদ্ধা ও বীরঙ্গনা, জাতীয় অধ্যাপকবৃন্দ, জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ, বরেণ্য শিল্পী, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সামরিক এবং আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যগণ।
এছাড়াও করোনার টিকার জন্য আবেদন করতে পারবে রাষ্ট্র পরিচালনার নিমিত্ত অপরিহার্য কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণমাধ্যমকর্মী, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, ধর্মীয় প্রতিনিধিগণ (সকল ধর্মের), মৃতদেহ সৎকার কার্যে নিয়োজিত ব্যক্তি, জরুরি বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ও ফায়ার সার্ভিস এর কর্মকর্তা-কর্মচারী, রেল, বিমান ও নৌ বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রবাসী অদক্ষ শ্রমিক, জাতীয় দলের খেলোয়াড়, ফাস্ট ট্র্যাক ভুক্ত প্রকল্পের কর্মকর্তা কর্মচারী ও শ্রমিকগণ এবং ৫৫ বছর ও তদুর্ধ সকল নাগরিক।
এর আগে আজ বিকেলে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালে কোভিড-১৯ টিকা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রথম দিনের এ কর্মসূচিতে ৩০ জন সম্মুখযোদ্ধাকে এ ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। দেশের ইতিহাসে প্রথমাবারের মতো করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু বেরোনিকা কস্তা।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে টিকা নিয়েছেন হাসপাতালটির চিকিৎসক ডা. আহমেদ লুৎফুল মোবেন, স্বাস্থ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহা পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, মতিঝিল বিভাগের ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মো. দিদারুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ।
উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী জানান, তিন কোটি ৪০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে। এরপর এগুলো সময়মতোই আসতে থাকবে। কোনো সমস্যা হবে না।
তিনি বলেন, এটা ঐতিহাসিক দিন। কেননা, অনেক দেশ এখনো ভ্যাকসিন পায়নি। সেখানে অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা সত্বেও বাংলাদেশে ভ্যাকসিন আমদানি করেছে সরকার।
সারাদেশে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে একযোগে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।