‘দেশের হাসপাতালগুলো লিঙ্গ-বান্ধব নয়’
দেশের হাসপাতালগুলো লিঙ্গ-বান্ধব নয়। হাসপাতালগুলোতে নারী বা পুরুষ রোগীদের গোপনীয়তা রক্ষা করা হয় না। ওয়েটিং রুম থেকে শুরু করে ইমার্জেন্সি ওয়ার্ড কোন কিছুই লিঙ্গ-বান্ধব নয়। রোগীর পাশাপাশি চিকিৎসকেরাও শিকার হন লিঙ্গ বৈষম্যের। এছাড়া হাসপাতালগুলোতে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য নেই আলাদা কোনো ব্যবস্থা।
শনিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এর ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত ‘জেন্ডার ফ্রেন্ডলি এনভারনমেন্ট ইন হেলথ ফ্যাসিলিটিজ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আলোচকরা।
অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে আইসিডিডিআর,বি ও বিএসএমএমইইউ। অনুষ্ঠানে অংশ নেন হাসপাতালটির চিকিৎসক, নার্স, আইসিডিডিআরবির গবেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, দেশের অধিকাংশ হাসপাতালে নারী ও পুরুষ রোগীদের জন্য আলাদা টয়লেট নেই। এমনকি নারী ও পুরুষ চিকিৎসকদের জন্যেও নেই পৃথক টয়লেট। ডাক্তারের চেম্বারে রোগীদের গোপনীয়তার ব্যবস্থা নেই। আবার রোগীর স্বজনরাও লিঙ্গ-বান্ধব আচরণ করেন না।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানাটমি বিভাগের অধ্যাপক লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, “স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রে জেন্ডার ফ্রেন্ডলি পলিসি থাকতে হবে। হাসপাতালে কর্মচারী-কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে জেন্ডার ফ্রেন্ডলি পলিসি সম্পর্কে অবগত কিনা তা যাচাই করতে হবে।”
হাসপাতালটির পাবলিক হেলথ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খালেকুজ্জামান বলেন, “সেরা ছাত্র মানে ভালো মানুষ তা নয়। নারীকে মানুষ হিসেবে দেখতে হবে। হাসপাতালেও সে অনুসারে ব্যবহার করতে হবে।”
আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানী এ টি এম ইকবাল আনোয়ার বলেন, “হাসপাতালগুলোতে যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ সেল থাকতে হবে এবং সেগুলো তদারক করতে হবে। হাসপাতালগুলোতে জেন্ডার–ফ্রেন্ডলি অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে।”