কৃষক আন্দোলন নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন ‘ভাইজান’
ভারতে গত কয়েক মাস ধরে চলে আসা কৃষিবিল বিরোধী আন্দোলন নতুন মোড় নিয়েছে গত মঙ্গলবার। এদিন বিশ্ববিখ্যাত পপতারকা রিহানার একটি মাত্র টুইটের জেরে 'উত্তাল' আসমুদ্রহিমাচল। নাম না করেই তড়িঘড়ি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে সাফাই নিয়ে সেলিব্রিটিদের কোনো বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে হলে দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বলিউড তারকা অক্ষয় কুমার, সুনীল শেঠি, করন জোহরদের পর অবশেষে কৃষক আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন সুপারস্টার সালমান খান। 'ভাইজানে'র মতে, যা কিছু শ্রেয়, সেটাই করা উচিত।
গ্রেটা থুনবার্গ ও রিহানার মতো আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বরা কৃষক আন্দোলনের পাশে দাঁড়ানোয় আন্তর্জাতিক মহলের সামনে অস্বস্তিতে পরে ভারত। এরপর খানিকটা 'ড্যামেজ কন্ট্রোলে' নামে বলিউড। অক্ষয় কুমার, সুনীল শেঠিরা 'ভারতের বিরুদ্ধে চালানো প্রোপাগান্ডা' নিয়ে সরব হন।
সালমান খানকে সম্প্রতি এক পাপারাজ্জি কৃষক বিদ্রোহের ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন করলে ভাইজান বলেন, 'যা সঠিক, সেটাই করা উচিত। সবচেয়ে বেশি যেটা সঠিক, সেটা করা উচিত। সবচেয়ে মহান বিষয়টাই করা উচিত।' অর্থাৎ, কৃষক আন্দোলনের ইস্যুতে নিজের মতামত জানালেও স্ট্রেট ব্যাটে না খেলে পাকা কুটনীতিবিদের মতো উত্তর দিলেন সালমান।
#IndiaTogether এবং #IndiaAgainstPropaganda এই দুটি হ্যাশট্যাগ দিয়ে দু-দিন আগেই টুইট করেন অজয় দেবগন, অক্ষয় কুমার, বিরাট কোহলি, শচিন টেন্ডুলকাররা।
অজয় দেবগন নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন, 'ভারত অথবা ভারতের নীতি-বিরোধী কোনো মিথ্যা প্রোপাগান্ডার ফাঁদে পা দেবেন না। এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি মারামারি ভুলে আমাদের একতা বজায় রাখা।'
কঙ্গনা রানাওয়াত, দিলজিৎ দোসাঞ্জ, তাপসী পান্নু, রিচা চড্ডার মতো তারকারা শুরু থেকেই এই ইস্যু নিয়ে সুর চড়িয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে প্রথমবার কৃষক আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন সালমান। বলিউড খানদানের অপর দুই স্তম্ভ শাহরুখ এবং আমির খান এই বিষয় নিয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি।
বুধবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, এই ধরনের সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে মন্তব্য করবার আগে গোটা বিষয় সম্পর্কে অবগত হওয়াটা খুব জরুরি। লেখা হয়, 'এ ধরনের বিষয়গুলোতে মন্তব্য করার আগে সত্যতা যাচাই করে নেওয়া উচিত। এই বিষয়গুলোর মধ্যে ঢোকার আগে ঠিক কী ঘটেছে, তা বুঝে নেওয়া উচিত।'
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে রিহানা ও গ্রেটার ভাইরাল টুইট সম্পর্ক প্রতিক্রিয়ায় আরও বলা হয়, 'সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাশট্যাগের প্রলোভন দেখিয়ে তারকারা যখন কোনো মন্তব্য করেন কিংবা কোনো বিষয়কে সমর্থন করেন, সবসময় তা সঠিক হয় না বা দায়বদ্ধতার পরিচয় দেয় না।'