মিরাজকে সাফল্যের মন্ত্র শেখানো তামিমের অস্বস্তির রেকর্ড
সাফল্যের পথ দেখিয়ে দিলেও সেই পথে হাঁটা যে কঠিন কাজ, তা বুঝলেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশ ওপেনারের পরামর্শে উদ্দীপ্ত মেহেদী হাসান মিরাজ জাগিয়ে তুলেছেন নিজের ব্যাটিং সত্ত্বা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০৩ রানের ইনিংস খেলে টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়েছেন তিনি। কিন্তু যার কথায় মিরাজ সাফল্য খুঁজে পেয়েছেন, সেই তামিমই দুই ইনিংসে ব্যর্থ।
'তামিম ভাই বলেছেন, শরীরের দিকে আসা বলগুলো সোজা রাখার জন্য, এটা যেন না ঘুরিয়ে দিই। আজ এটা প্রয়োগ করেছি। গ্যাব্রিয়েল যখন আমাকে শরীর বরাবল বল করেছে, যতটা সম্ভব সোজা রাখতে পেরেছি এবং ছেড়ে দিয়েছি'- কথাগুলো মিরাজের। আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে সিনিয়র ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়ার পর বলেছিলেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার।
অনুজের এমন স্বীকারোক্তি দেখে আনন্দই হওয়ার কথা তামিমের। কিন্তু নিজের পারফরম্যান্সে সেই আনন্দ নিমেষেই মিলিয়ে গেছে। গুরু তামিমের কৃতিত্ব ১০৩ রানের ইনিংস। কিন্তু ছাত্র তামিম দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ রান করার হতাশায়। প্রথম ইনিংসে ৯ রান করলেও দ্বিতীয় রানের খাতাই খুলতে পারেননি দেশসেরা এই ব্যাটসম্যান। এতে অস্বস্তির এক রেকর্ডে নাম উঠে গেছে তামিমের।
অপ্রত্যাশিত এক রেকর্ডে মাশরাফি বিন মুর্তজার পাশে বসেছে তামিমের। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার শূন্য রানে আউট হওয়ার তালিকায় তামিম-মাশরাফি এখন সমান সমান। টেস্ট ক্যারিয়ারে নবমবারের মতো শূন্য রানে আউট হওয়ার দিনে সব মিলিয়ে ৩৩টি ইনিংসে রানশূন্য থাকলেন তামিম। যা বিশ্বে চতুর্থ সর্বোচ্চ।
তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৩৩ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন ওয়ানডের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়ে যাওয়ায় অস্বস্তির এই রেকর্ডে নাম উঠে যায় ওয়ানডের বর্তমান অধিনায়কের।
৩০৮ ম্যাচে ২৬২ ইনিংসে ব্যাটিং করেছেন ডানহাতি পেসার মাশরাফি। এরমধ্যে ৩৩টি ইনিংসে শূন্য রানে আউট হন তিনি। মাশরাফির চেয়ে অনেক বেশি ইনিংস খেলেছেন তামিম। অভিজ্ঞ এই ওপেনার ৩৪৫ ম্যাচে ৩৯৯ ইনিংসে ব্যাটিং করেছেন। বিরক্তির এই রেকর্ডে তিন নম্বরে মোহাম্মদ আশরাফুল, ৩১টি ইনিংসে কোনো রান করতে পারেননি তিনি।
এরপর রয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও হাবিবুল বাশার। মুশফিক ২৬ ও বাশার ২৫টি ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছেন। টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ১৬ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন আশরাফুল। এ ছাড়া মাশরাফি ১২, খালেদ মাসুদ পাইলট ১১, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১১ ও মুশফিকুর রহিম ১১ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন।
বর্তমান খেলোয়াড়দের মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশিবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রড। ইংল্যান্ডের ডানহাতি এই পেসার তিন ফরম্যাটে মোট ৪৫ বার রানের খাতা খোলার আগে আউট হয়েছেন। এরপরই ভারতের পেসার ইশান্ত শর্মা, ৩৭ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন তিনি। তিন নম্বরে থাকা ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি পেসার জেমস অ্যান্ডারসন ৩৪ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন।