৬ টাকা ভ্যাট দিয়ে ১০ হাজার টাকা পুরষ্কার জিতলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক
চট্টগ্রামের একটি রেস্টুরেন্টে ৬ টাকা ভ্যাট পরিশোধ করে, ১০ হাজার টাকা পুরষ্কার জিতেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মেহের নিগার। আজ বৃহষ্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রাম দুই দিন ব্যাপী আয়োজিত ভ্যাট মেলার দ্বিতীয় দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে পুরষ্কারের চেক তুলে দেন।
গত ১৬ জানুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর এমএ আজিজ আউটার স্টেডিয়াম এলাকার রেড চিলি রেস্টুরেন্টে ছেলেকে নিয়ে কোল্ড ড্রিংস কেনেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহের নিগার। ১৫% হারে ৪০ টাকার পণ্যের উপর ইএফডি মেশিনে (ইলেকট্রনিক ফিসকেল ডিভাইস) ৬ টাকা মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) পরিশোধ করেন তিনি।
ইএফডি মেশিনে পরিশোধকৃত ভ্যাটের রশিদের- এর ভিত্তিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত ৫ ফেব্রুয়ারি লটারির-ড্র করে। এতে ১০১ জন পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিজয়ী লটারি কুপন সংবাদপত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করে। এতে চট্টগ্রাম অঞ্চলে চতুর্থ স্থান অর্জন করেন; মহানগরীর পাঁচলাইশ থানার আওতাধীন শুলকবহার এলাকার বাসিন্দা মেহের নিগার।
আগ্রাবাদের ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ১০ হাজার টাকা পুরষ্কারের চেক হস্তান্তর করেন ভ্যাট কমিশনার মো: আকবর হোসেন। এসময় তিনি বলেন, চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো লটারিতে পুরষ্কার জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন মেহের নিগার। এরমধ্য দিয়ে ক্রেতাগন ভ্যাট পরিশোধে অনুপ্রাণিত হবেন। কেনাকাটার সময় ইএফডি চালান সংগ্রহ করে- তা লটারির জন্য সংরক্ষণের অনুরোধ করেন ভ্যাট কমিশনার।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ১২০ টি ইএফডি মেশিনে বিভিন্ন শপিংমল-সহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ভ্যাট আদায় করা হচ্ছে। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে আরো নতুন ৪০০টি ইএফডি মেশিন স্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পুরষ্কার জয়ী মেহের নিগার- দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, এটি নিঃসন্দেহে সরকারের একটি ইতিবাচক উদ্যোগ। আগে আমাদের পরিশোধ করা শুল্ক রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হতো কিনা- তা নিয়ে আমাদের মনে সংশয় ছিলো। ইএফডি মেশিনের মাধ্যমে সেই সংশয় কেটে গেছে। রাষ্ট্রীয় এই উদ্যোগে চট্টগ্রাম থেকে প্রথমবারের মতো পুরষ্কার জিততে পেরে আমি ভীষনভাবে আপ্লুত।
পুরষ্কার প্রদান অনুষ্টানে রেড চিলি রেস্টুরেন্টের পরিচালক নিজামুল হক বলেন, ইএফডি মেশিনের মাধ্যমে ভ্যাট আদায়ের ফলে গ্রাহকদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এর মাধ্যমে ভ্যাট আদায়ে স্বচ্ছতা সৃষ্টি হয়েছে।
পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত: ভ্যাট আদায় বাড়তে কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রাম- প্রতিমাসে দুই দিন ব্যাপী শুল্ক মেলার আয়োজন করছে। ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি ভ্যাট কমিশনারেট- এর ৮টি বিভাগীয় কার্যালয়ে একযোগে ভ্যাট মেলার আয়োজন করা হয়।