মুচলেকা দিয়ে জামিন পেলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস
গ্রামীণ কমিউনিকেশনসের কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করার ৩ মামলায় ১০ হাজার টাকা মুচলেকা দিয়ে জামিন পেলেন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ও গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৭ নভেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ থাকলেও রোববার (৩ নভেম্বর) শ্রম আদালতে ১০ হাজার টাকা মুচলেকা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ড. ইউনূস। শ্রম আদালত-৩ এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন জাকিয়া পারভিন তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৮ অক্টোবর গ্রামীণ কমিউনিকেশনসের কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করার ৩ মামলায় নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ও গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আত্মসমর্পণ করার আগে গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এছাড়াও ড. ইউনূসকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে সুবিধাজনক সময়ে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন আদালত।
ড. ইউনুসের আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদের করা এক আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে ইউনূসের পে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ড. ইউনূসকে গ্রেপ্তার না করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, মামলা সূত্রে জানা যায়, ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সে কিছু শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন করতে চাইলে তাতে বাধা দিয়ে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত তিন শ্রমিক গত ৩ জুলাই ড. ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীনকে আসামি করে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আসামিদের উপস্থিতির দিন ধার্য ছিল গত ৯ অক্টোবর। মামলায় অপর দুই আসামি নাজনীন সুলতানা ও খন্দকার আবু আবেদীন উপস্থিত থাকলেও বিদেশে অবস্থান করায় ড. ইউনূস উপস্থিত ছিলেন না। এ কারণে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান রহিবুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।