যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে শীর্ষ ধনী কৃষ্ণাঙ্গ-আমেরিকান এখন কানিয়ে ওয়েস্ট
ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী কৃষ্ণাঙ্গ-আমেরিকানের খেতাব জুটালেন র্যাপার-সঙ্গীত প্রযোজক কানিয়ে ওয়েস্ট।
ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কানিয়ের মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ৬৬০ কোটি ডলার। কানিয়ের ব্র্যান্ড ই'জির সাথে সম্প্রতি গ্যাপ এবং অ্যাডিডাসের বড় অংকের চুক্তি হয়। সেই চুক্তি থেকেই তার সম্পদের মোট মূল্য এতটা ছাড়িয়ে গেছে। র্যাপার থেকে কানিয়েকে বোধহয় এখন 'ফ্যাশন মুঘল' ডাকলেও ভুল হবে না!
প্রতিবেদন অনুসারে, এডিডাসের সাথে ই'জি শু এর অংশীদারি চুক্তি এবং গ্যাপের সাথে মিলে ই'জি ক্লথিং এর অংশীদারি চুক্তির মূল্যমান ধরা হয়েছে তিন দশমিক দুই থেকে চার দশমিক সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলার। শুধু গ্যাপের সাথে চুক্তি থেকেই কানিয়ে পাবেন ৯৭০ মিলিয়ন ডলার। আসছে গ্রীষ্মেই এসব 'কোলাবরেটেড' পণ্য আসবে বাজারে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে নিক ক্যাননের পডকাস্ট শো "ক্যাননস ক্লাস" এর একটি পর্বে কানিয়ে ওয়েস্ট জানান, গ্যাপের সাথে অংশীদারিত্ব ঘোষণার পরে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৫ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে।
ব্লুমবার্গ জানায়, সদ্য বিচ্ছেদের আবেদন করা স্ত্রী কিম কার্দাশিয়ানের ফ্যাশন লাইন 'স্কিমস' এর সাথে যৌথ মালিকানা থেকে কানিয়ের ভাগে রয়েছে আরও ১৭০ কোটি ডলার। পাশাপাশি শেয়ার এবং অন্যান্য সম্পদ থেকে কানিয়ের আয় ১২২ মিলিয়ন ডলার; এছাড়া বিশ্বজুড়ে বিক্রি হওয়া কানিয়ের সংগীতের মূল্যমান ধরা হয়েছে ১১০ মিলিয়ন ডলার।
গত বছরের জুনে মার্কিন ব্র্যান্ড গ্যাপের সাথে কানিয়ের ই'জি ব্র্যান্ডের অংশীদারি চুক্তির (কোলাবরেশন) ঘোষণা আসে।
তবে ফোর্বস সাময়িকীর মতে, গ্যাপের সাথে চুক্তিকৃত পণ্যগুলো বাজারে না বিকোনো পর্যন্ত কানিয়ের সম্পদের সঠিক ও সম্পূর্ণ মূল্যমান বের হবে না।
বহুদিন যাবতই যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাপের ব্যবসায় মন্দা যাচ্ছে। নতুন ব্র্যান্ডগুলোর সাথে পাল্লা দিতে না পেরে এবং করোনা মহামারীর প্রভাবে ২০২০ সালের শেষে গ্যাপ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল তারা সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে তৃতীয় পক্ষের কাছে ব্যবসা স্থানান্তরিত করতে আগ্রহী।
ইউবিএস বিশ্লেষক জে সোল তাই ফোর্বসের সুরেই বলেছেন, গ্যাপের আগে তরুণ ক্রেতাদের কাছে নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরতে হবে।
উল্লেখ্য, এ বছরের শুরুতে কানিয়ের সাথে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন মার্কিন মডেল ও উদ্যোক্তা কিম কার্দাশিয়ান। এই দম্পতির চার সন্তান রয়েছে।
২০২০ সালে কিম জনসম্মুখে কানিয়ের মানসিক অসুস্থতার কথা জানান। 'বাইপোলার ডিসঅর্ডার' নামক রোগে আক্রান্ত এই ধনকুবের।
- সূত্র- ইনসাইডার বিজনেস