নৌযানেও অর্ধেক যাত্রী পরিবহন, বাড়ছে ভাড়া
করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস-ট্রেনের মতই নৌযানেও বৃহস্পতিবার থেকে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করতে হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, 'আগামীকাল থেকে নৌ ভাড়া বৃদ্ধি করা হবে। এ বিষয়ে আজকে নৌযান মালিকদের সাথে বসে ভাড়া নির্ধারণ করা হবে।'
বুধবার নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে এক সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
খালেদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, 'স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীদের লঞ্চে উঠতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
ভাড়া বৃদ্ধির পাশাশাশি নৌপরিবহন বৃদ্ধি করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের প্রণীত গাইডলাইন/স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করে সদরঘাটসহ অন্যান্য নৌবন্দরে যাবতীয় নৌযান পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়ে এবং নদীর মাঝপথে নৌকাযোগে যাত্রী উঠালে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিক-চালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঈদের পূর্বে তিন দিন ও ঈদের পরে তিন দিন নিত্য প্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরীতে পারাপার বন্ধ রাখতে হবে, রাতের বেলায় সকল প্রকার মালবাহী জাহাজ, বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।
এ সময় সদরঘাট থেকে বাহাদুরশাহ পার্ক পর্যন্ত রাস্তা যানজটমুক্ত এবং সদরঘাট টার্মিনাল ও লঞ্চসমূহ হকারমুক্ত রাখার নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'নৌপথে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, শ্রমিক, যাত্রীদের হয়রানি ও ভীতিমূলক অবস্থা প্রতিরাধ করার জন্য রাতে পুলিশের টহলের ব্যবস্থা করতে হবে, প্রত্যেক ঘাট এলাকায় যাত্রীদের জানমাল নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের (জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ড ) সমন্বয়ে ভিজিলেন্স টীম গঠন করতে হবে।