ঝুঁকি কমাতে হাওরে আগাম জাতের ধান চাষে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার
হাওর এলাকায় ১০-১৫ দিন আগে পাকে এমন জাতের ধানের জাত উদ্ভাবন ও চাষে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক।
রোববার কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার সাদরের হাওরে 'বোরো ধান কর্তন উৎসব' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় কৃষিমন্ত্রী ধান কাটার উদ্বোধন করেন ও ধান কাটার যন্ত্র 'কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার' কৃষকের মাঝে বিতরণ করেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, 'কোনো কোনো বছর আগাম বন্যার কারণে ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এ ঝুঁকি কমাতে আমরা কাজ করছি। ১৫-২০ দিন আগে পাকে এমন জাতের ধান চাষে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, শ্রমিক সংকটের কথা চিন্তা করে, দ্রুততার সাথে ধান কাটার জন্য হাওরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার দেওয়া হচ্ছে।'
কৃষকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, 'হাওরের বিস্তীর্ণ জমিতে বছরে শুধু বোরো ধান হয়। এ ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যে উচ্চফলনশীল জাতের ধান যেমন ব্রিধান ৮৯, ৯২ উদ্ভাবন করেছেন। আমরা আপনাদেরকে এসব উন্নত জাতের হাইব্রিড ধানের বীজ দিব। আপনার এগুলো চাষে এগিয়ে আসবেন।'
কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বলেন, 'সরকার কৃষিকে লাভবান ও কৃষকের জীবনমান উন্নত করতে অত্যন্ত উদারভাবে কৃষকদেরকে সার, বীজ, সেচসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে। উৎপাদন খরচ কমানো ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ত্বরান্বিত করতে সর্বোচ্চ ৭০% ভর্তুকিতে কম্বাইন হারভেস্টার, রিপারসহ বিভিন্ন যন্ত্র কৃষকদেরকে দিচ্ছে।'
উল্লেখ্য, এ বছর কিশোরগঞ্জ জেলায় বোরো আবাদ হয়েছে এক লাখ ৬৬ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হাওরে এক লাখ দুই হাজার ৫০০ হেক্টর ও নন-হাওরে ৬৪ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। এখন পর্যন্ত (২৪ এপ্রিল) হাওরের ৫৩% ও নন-হাওরের ৩৯% জমির ধান কর্তন হয়েছে। এ বছর জেলায় সাত লাখ ১১ হাজার ৫৮০ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।