তামিম-মুশফিকদের ‘কষ্ট’ বুঝতে পারেন রাজ্জাক
আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলায় নিয়মিত জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকতে হচ্ছে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। আছে ঘরোয়া ক্রিকেটও। সব মিলিয়ে পরিবার থেকে অনেকটা সময় দূরে থাকতে হচ্ছে তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মুস্তাফিজুর রহমানদের। এ কারণে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের স্ত্রীকে নিয়ে থাকার অনুমতি দিয়েছে বিসিবি।
দীর্ঘ সময় ধরে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকাটা জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের জন্য কতোটা কঠিন, সেটা বুঝতে পারছেন আব্দুর রাজ্জাক। গত ফেব্রুয়ারিতে ক্রিকেটকে বিদায় বলে বিসিবির নির্বাচকের দায়িত্ব নেওয়া বাঁহাতি স্পিনার মনে করেন, করোনাকালে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ কারণে ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন তারা।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সফল এই স্পিনার বলেন, 'আমরা ভাবছি। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এখন জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা। যারা জাতীয় দলে নিয়মিত, তাদের কথা একটু মনোযোগ দিয়ে চিন্তা করেন, তারা কতদিন বাইরে। আসলেই কঠিন।'
'আমরা শুধু পারফরম্যান্স দেখতে চেষ্টা করি। কিন্তু এটাও বিবেচনায় রাখা উচিত। যারা ক্রিকেট নিয়ে কথা বলে, তাদের এসব হিসাব করা উচিত। কারণ খুবই স্বাভাবিকভাবে এ রকম একটা চিন্তা করা হচ্ছে যেন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিশ্রাম দেয়া হয়। আরেকটা জিনিস হলো বোর্ড যদি অনুমতি দেয়, পরিবারের সাথে থাকা।' যোগ করেন রাজ্জাক।
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে চলতি মাসের শেষ দিকে জিম্বাবুয়ে যাবে বাংলাদেশ। জানা গেছে, এই সফরে সিনিয়র ক্রিকেটারদের কেউ কেউ বিশ্রামে থাকতে চান, আবেদনও জমা পড়েছে বিসিবিতে। তবে প্রতিপক্ষ বিবেচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নিলে সেটাকে সমর্থন করেন না রাজ্জাক। এ ছাড়া কারও ছুটির আবেদন সম্পর্কে এখনও জানেন না বলে জানিয়েছেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
বিসিবির এই নির্বাচক বলেন, 'জিম্বাবুয়ের মাটিতে জিম্বাবুয়ে সহজ প্রতিপক্ষ নয়, বাংলাদেশের মাটিতে হলে বলতাম তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ। জিম্বাবুয়েতে জিম্বাবুয়ে কখনোই সহজ প্রতিপক্ষ নয়। আমি কোনোভাবেই এর সাথে একমত হব না। আমি এখনও জানি না কেউ বলছে যে, আমি থাকতে পারব না। এখনও কেউ বলেনি। বললে অবশ্যই বিবেচনা করা হবে।'
সেই বিবেচনার দায়িত্ব বিসিবির ওপর ছাড়ছেন রাজ্জাক। ২৭৯টি আন্তর্জাতিক (তিন ফরম্যাট মিলিয়ে) উইকেটের মালিক বললেন, 'এ রকম যদি আসে আমরা বিবেচনা করে দেখব। আর এই বিবেচনার বিষয়টা সম্পূর্ণ ক্রিকেট বোর্ডের। বোর্ড থেকেই সিদ্ধান্তটা আসবে। আমাদের ইনফর্ম করা হবে আমরা বিবেচনা করতে পারি কিনা। আমরা দেখব ওই খেলোয়াড় থাকলে কী হতে পারে, না থাকলে কী হতে পারে।'
আট বছর পর জিম্বাবুয়ে সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই সফরে একটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। ৭ জুলাই শুরু হবে একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি। এর আগে ৩ ও ৪ জুলাই দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ১৬, ১৮ ও ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে তিন ওয়ানডে। সবগুলো ম্যাচই হবে হারারেতে। এই ভেন্যুতেই ২৩, ২৫ ও ২৭ জুলাই তিন টি-টোয়েন্টিতে লড়বে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে।