৯ বছর আগে করা টুইটের কারণে নিষিদ্ধ ইংলিশ ক্রিকেটার
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের চলতি টেস্ট সিরিজেই অভিষেক হয়েছে ওলি রবিনসনের। অভিষেক টেস্ট খেলেই সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হলেন ইংল্যান্ডের এই পেসার। ২০১২ ও ২০১৩ সালে করা টুইটের কারণে তাকে নিষিদ্ধ করেছে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
কৈশর বয়সে করা রবিনসনের বর্ণবাদ ও লিঙ্গ বৈষম্যমূলক টুইট নিয়ে রবিনসনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, এটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ থাকবেন তিনি।
সোমবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে ইসিবি। নিষিদ্ধ হওয়ায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের স্কোয়াডে রাখা হবে না রবিনসনকে। বিবৃতিতে ইসিবি জানিয়েছে, দ্রুততার সঙ্গে ইংল্যান্ডের ক্যাম্প ছেড়ে চলে যাবেন ডানহাতি এই পেসার।
রবিনসন তার জন্মস্থান সাসেক্সে ফিরে যাবেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হলেও কাউন্টি ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন তিনি।
অভিষেকটা দুর্দান্তই হয় রবিনসনের। কিউইদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে ৭ উইকেটে নিয়েছেন তিনি। ব্যাট হাতে করেন ৪২ রান। কিন্তু টেস্টের প্রথম দিন থেকেই টুইট-বির্তকে তাকে জড়িয়ে সমালোচনা হতে থাকে। পুরনো টুইটের কারণে সংবাদ সম্মেলনে ক্ষমাও চেয়েছিলেন রবিনসন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিষিদ্ধই হতে হলো তাকে।
সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরুর আগে লর্ডসের ওল্ড প্যাভিলিয়নের সামনে বর্ণবাদ ও লিঙ্গ বিদ্বেষের বিপক্ষে স্লোগান সম্বলিত টি-শার্ট পরে দাঁড়িয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। এটাই কাল হয় রবিনসনের জন্য। দ্রুতই তার ৮-৯ বছর আগের টুইট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে বর্ণবাদ, লিঙ্গবিদ্বেষ মূলক মন্তব্য করেছিলেন রবিনসন।
রবিনসনের টুইট নিয়ে সমালোচনা শুরুর পর বিবৃতি দিয়েছিলেন ইসিবির প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসন। বিবৃতিতে রবিনসনকে নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি। ইংলিশ পেসারের বিপক্ষে ডিসিপ্লিনারি তদন্ত শুরুর কথা জানিয়েছিলেন হ্যারিসন।
হ্যারিসনের পর ইসিবির বরাত দিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন রবিনসনও। পুরনো টুইটের কারণে ক্ষমা চেয়ে ২৭ বছর বয়সী ইংলিশ এই পেসার বলেছিলেন, 'আমি লজ্জিত। আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই, আমি বর্ণবাদী বা লিঙ্গ বিদ্বেষী নই।'
২০১২, ২০১৩ সালে রবিনসন যখন টুইটগুলো করেন, তখন তার বয়স ছিল ১৮-১৯। সে সময় তিনি কোনও কাউন্টি ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখছে ইসিবি। কাউন্টি ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থেকে থাকলে তদন্তভার নেবে ক্রিকেট ডিসিপ্লিন কমিশন। এটা ইসিবির বাইরে একটি স্বাধীন সংস্থা। চুক্তিবদ্ধ না থাকলে তদন্ত করবে ইসিবি।