নূরদের বিরুদ্ধে পাল্টা ‘হত্যাচেষ্টা ও চুরির’ মামলা
ডাকসু ভিপি নূর ও তার অনুসারীদের ওপর ছাত্রলীগ এবং মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের হামলার পর এবার নূরসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও চুরির অভিযোগে মামলা করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা।
ডিএম সাব্বির হোসেন নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সাবেক এই সহ-সভাপতি বৃহস্পতিবার শাহবাগ থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশের রমনা জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার এস এম শামীম বলেন, নূরসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে সেখানে আসামি করা হয়েছে। ডাকসু ভবনে বহিরাগতদের নিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ, ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে মামলার এজাহারে।
সাব্বিরের করা মামলার এজাহারে নাম থাকা আসামিরা হলেন-ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নূর, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, মুহাম্মদ রাশেদ খান, এপিএম সুহেল, মশিউর রহমান, আবু হানিফ, ওই সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, আমিনুল ইসলাম, তুহিন ফারাবী, মেহেদী হাসান, সালেহ উদ্দিন সিফাত, নাজমুল হাসান, রবিউল হোসেন, আয়াতুল্লাহ বেহেশতী, আরিফুর রহমান, দ্বীন ইয়ামিন মোল্লা, তরিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, আরিফুর রহমান, আব্দুল্লাহ হিল বাকী, আকরাম হোসেন, আসিফ খান, সানাউল্লাহ হক, আতাউল্লাহ, শাকিল মিয়া, হাসানুল বান্না, রবীরুল ইসলাম, রাজ ও আরিফুল ইসলাম।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ‘অবৈধভাবে জনতবদ্ধ হয়ে ডাকসু ভবনে অনধিকার প্রবেশ’ করে এবং লাঠিসোঁটা ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ চালিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, এ এম এম আল সনেট, ইয়াসিন আরাফাত, তৌহিদুল ইসলাম মাহিম, মাহবুব হাসান নিলয়, ইয়াদ আল রিয়াদ, ইমরান সরকারসহ আরও অনেককে গুরুতর জখম করে।
সাব্বির নিজেও আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার কথা এজাহারে লিখেছেন।
এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর ডাকসু ভবনে ভিপি নুরুল হক নূরের কক্ষে ঢুকে হামলা চালান মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতা-কর্মীরা। তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাও ছিলেন। হামলায় নূর ও তার বেশ কয়েকজন সহযোগী আহত হন।
হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ৩৭ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভিপি নূর।