ভূমধ্যসাগরে ভাসমান ২৬৪ বাংলাদেশি উদ্ধার
গতকাল বৃহস্পতিবার ভূমধ্যসাগর থেকে ২৬৭ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড। তাদের মধ্যে ২৬৪ জনই বাংলাদেশি। বাকি ৩ জন মিশরীয় নাগরিক।
ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) জানায়, এই অভিবাসীরা লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন।
তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড জানায়, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় অভিবাসীদের নৌকা ভেঙে যায়। তখন তারা সাগরে ভাসছিলেন। এ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়।
তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী এই অভিবাসীদের সাগর থেকে তীরে নিয়ে আসতে সহায়তা করে। তাদেরকে লিবিয়ার সীমান্তবর্তী দক্ষিণ তিউনিসিয়ার বেন গুয়ের্দেন বন্দরে নেওয়া হয়। তীরে নিয়ে তাদেরকে আইওএম ও রেড ক্রিসেন্টের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আইওএম জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত অভিবাসীদের তিউনিসিয়ার জেরবা দ্বীপের একটি হোটেলে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
আইওএমের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজারের বেশি অভিবাসী তিউনেসিয়ায় আটক হয়েছেন। এ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এইসব অভিবাসীর উদ্দেশ্য লিবিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়া।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মোট ১১ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী লিবিয়া হয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। গত বছরের এই সময়ের তুলনায় এবার এ সংখ্যা ৭০ শতাংশ বেশি।
ইউএনএইচসিআর বলেছে, লিবিয়া ও তিউনিসায় অভিবাসীদের 'নাজুক' অবস্থার কারণে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবে উত্তর আফ্রিকার উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে সাগরে ভাসছেন।
রেড ক্রিসেন্ট কর্মকর্তা মোনঙ্গি স্লিম জানিয়েছেন, অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য তিউনিসিয়ায় আশ্রয়শিবির তৈরি করা হয়েছে। এই শিবিরগুলো কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ১৪০০ অভিবাসী মারা গেছেন। চলতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে মারা গেছেন ৭৬০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী।