লকডাউনের ঘোষণায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রীদের ভিড়
সারা বাংলাদেশে সোমবার থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রী পারাপারে ভিড় সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে ফেরিঘাটে যাত্রীদের থেমে থেমে ভিড়সহ ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ ছিল চোখে পড়ার মতো।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী সোমবার থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা আসছে। তাই উভমুখী যাত্রীরা তাদের গন্তব্যে যেতে মরিয়া। এদিকে নৌরুটটিতে ফেরি ছাড়া অন্যান্য নৌযান বন্ধ থাকায় যাত্রীদের ভিড় গতকাল থেকেই বৃদ্ধি পেয়েছে।
কেরাণীগঞ্জ থেকে যাত্রী আব্দুস সালাম জানান, ১০০০ টাকা দিয়ে তারা ৪ জন যাত্রী সিএনজি দিয়ে ঘাট এলাকায় এসেছেন। প্রতিটা চেকপোস্টে তাদেরকে থামতে হয়েছে। শিমুলিয়া ঘাটে এখন ফেরিতে করে তারা পার হবেন।
মাদারীপুরের যাত্রী সালমা জানান, বিয়ে খেতে মিরপুর যেতে তাদেরকে জনপ্রতি ৬০০ টাকার ভাড়া গুনতে হয়েছে শিমুলিয়া ঘাট পর্যন্ত; এখন ফেরিতে পার হবেন। বিয়ের আনন্দ তো দূরের কথা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
মাওয়া নৌ-পুলিশের পরিদর্শক সিরাজুল কবির জানান, বিভিন্ন গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঘাটে আগত যাত্রীরা পায়ে হেঁটে আসছে। তবে যে ভিড় সৃষ্টি হয় তা স্বল্প সময়ের জন্য। ১৪টি ফেরি জরুরী সেবার যানবাহন ও এম্বুলেন্স পারাপারের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে মানবিকতা বিবেচনায় আগত যাত্রী ও ব্যক্তিগত যানবাহনও পারাপার করা হচ্ছে।
ফেরি যখন ঘাটে নোঙ্গর করে, তখন যাত্রীদের নামার ভিড় তৈরি হয়। আর যখন ফেরি ছেড়ে যায়, তখন যাত্রীদের উঠার ভিড়। নইলে ফেরি ঘাট প্রায় ফাঁকা পড়ে থাকে। বর্তমানে ছোট-বড় গাড়ি ও এম্বুলেন্সসহ দেড় শতাধিক যানবাহন রয়েছে পারের অপেক্ষায়।
মুন্সীগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানান, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ট্রাফিক ও জেলা পুলিশের একাধিক চেকপোস্ট রয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া কোন যানবাহন ঘাট মুখে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাছাড়া প্রতিটি উপজেলাসহ জেলা সদরেই ৬টি চেকপোস্ট রয়েছে। জরুরী সেবা সমূহের দোকান ছাড়া সকল ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। গতকাল থেকে জেলায় কঠোরভাবে লকডাউন পালনে কার্যকর বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।