১১ বছরের বালকের হাতে ১০৫ কেজির বারবেল!
১১ বছরের বাচ্চারা সাধারণত কী করে? স্কুলে যায়, খেলাধুলা করে, বই পড়ে। কিন্তু টিমোফি ক্লেভাকিন নামে রাশিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলের এগারো বছর বয়সী একটি বালক করেছেন একেবারেই ভিন্নকিছু। তার সমস্ত ব্যস্ততা শারীরিক নানা কলা-কৌশলের প্রশিক্ষণ ও ভারোত্তোলনকে ঘিরেই।
ইউরাল পর্বত শ্রেণির কোল ঘেঁষে থাকা শালিয়া নামে একটি গ্রামে বেড়ে ওঠা টিমোফি নামের এই বালক তার বাবা আর্সেনি ক্লেভাকিনকে দেখে দেখেই প্রথমে জিম করা ও পরে ভারোত্তোলনের ব্যাপারে আগ্রহ পায়।
ছেলের আগ্রহ দেখে বাবাও তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন। যদিও মাত্র পাঁচ বছরের টিমোফি ও তার বাবার এমন অদ্ভুত কর্মকাণ্ডে ভীষণ বিপত্তি ছিলো তার মায়ের।
মাত্র ছয় বছর বয়সেই আঞ্চলিক একটি ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় ৫৫ কেজির বারবেল উত্তোলন করে বিচারকদের চমকে দেন টিমোফি।
একদম অল্প বয়স থেকে অনন্য শক্তিমত্তার পরীক্ষা দিয়ে আসা টিমোফি এখন প্রস্তুত হচ্ছেন ১০৫ কেজি ভারোত্তোলনের জাতীয় রেকর্ড ভেঙে দেওয়ার জন্য।
গতবছর এশিয়ান কাপে ১০০ কেজির ভারোত্তোলন করে টিমোফি অনেকেরই নজর কাড়লেও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া কিছু ভিডিওর মাধ্যমে তিনি নতুন করে পরিচিতি পান। ওই ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, টিমোফি ট্রাকটরের বিশাল বিশাল চাকা উল্টে দিচ্ছেন, কোমরে বেল্ট বেঁধে গাড়ি টেনে নিয়ে যাচ্ছেন।
শক্তিমত্তার পাশাপাশি নিজের এমন অসাধারণ কৌশলের জন্য টিমোফিকে তার গ্রামের লোকজন ‘হিরো’ হিসেবে বিবেচনা করে। মাঝেমাঝে টিমোফি ভারোত্তোলনে তার চেয় পাঁচগুণ বড় মানুষদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামে।
এই বালকের সবচেয়ে অনন্য দিকটি হলো, তার বয়সীরা সবাই যখন খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকে তখন সে জিম করে ঘাম ঝরায়। খাবারের ব্যাপারে বাচ্চারা খুব একটা সচেতন না হলেও টিমোফি ঠিকই পেশাদার অ্যাথলেটদের মতো পরিমিত ও সুষম আহার গ্রহণ করে।
টিমোফির মায়ের দুশ্চিন্তা, অল্প বয়সে এ ধরণের শারীরিক কসতের প্রভাব পড়তে পারে তার স্বাস্থ্যের ওপর, বিশেষ করে মেরুদণ্ড ও হাঁটুতে। তবে তার বাবা সচেতনভাবেই বাচ্চার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন।
আসছে বসন্তে রাশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ১০৫ কেজি ভারোত্তোলন করে নতুন রেকর্ড তৈরি করাই এখন টিমোফির লক্ষ্য।