মোদির মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল আসছে!
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল হতে চলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগামী বছর পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই এই রদবদল হতে চলেছে।
যদিও এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তবে বার্তা সংস্থা ইউএনবির পাওয়া তথ্য অনুসারে, মন্ত্রিসভায় কম-বেশি নতুন ২৮ মুখ দেখা যাবে, যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেরও উপস্থিতি থাকছে।
বর্তমানে মোদির মন্ত্রিসভায় ৫৩ জন সদস্য রয়েছেন। ২০১৯ সালে পুনরায় সরকার গঠনের পর এটাই মোদি সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভা বর্ধনের উদ্যোগ হতে চলেছে।
ইতোমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের তিন বিজেপি নেতা জগন্নাথ সরকার, শান্তনু ঠাকুর এবং এন প্রামাণিকের নাম নতুন মন্ত্রীসভায় যুক্ত হবার কথা শোনা যাচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে গত এপ্রিল-মে মাসে অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বড় ধরনের পরাজয়ের শিকার হয় মোদির বিজেপি। কেন্দ্রীয় অনেক নেতাসহ স্বয়ং ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি বেশ কয়েকবার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ার পরও বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয় বিজেপি।
পশ্চিমবঙ্গের পরাজয়ের কথা মাথায় রেখেই আসন্ন পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন ও সাধারণ নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে মন্ত্রিসভায় স্থান দেয়ার মাধ্যমে নতুন পরিকল্পনা করছে বিজেপি।
ইউএনবি'র পাওয়া তথ্যমতে, সাবেক কংগ্রেস সাংসদ জোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, বিহারের সাবেক উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী এবং মহারাষ্ট্র রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণ রানের নাম নতুন মন্ত্রিসভায় যুক্ত হতে পারে।
এছাড়া, মন্ত্রিসভায় বর্ধনের লক্ষ্যে বর্তমান মন্ত্রিসভার পিয়ুস গোয়াল, স্মৃতি ইরানিসহ প্রায় নয়জন মন্ত্রীকে তাদের অতিরিক্ত দায়িত্ব ছাড়তে হতে পারে।
দিল্লির রাজনৈতিক বিশ্লেষক রামা শার্মা বর্তমান গুঞ্জন সম্পর্কে ইউএনবিকে বলেন, 'আগামী বছর উত্তর প্রদেশসহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। এক্ষেত্রে যেকোনো দলের জন্যই উত্তর প্রদেশ জয় করা জরুরি।'
'উত্তর প্রদেশ যার, ভারত তার'- এমন কথার প্রচলন আছে উল্লেখ করে রামা শার্মা আরও বলেন, 'যেহেতু উত্তর প্রদেশে সর্বোচ্চ ৮০টি সংসদীয় আসন আছে, তাই সকলেই উত্তর প্রদেশের ওপর নজর রাখবে।'