বাগেরহাটে রেকর্ড পরিমাণ করোনা শনাক্ত, সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা
বাগেরহাটে প্রতিদিনই কোভিড-১৯ শনাক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গেল কয়েকদিন ধরে শনাক্তের হার গড়ে একশোর উপরে রয়েছে।
রোববার (৪ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত বাগেরহাট সদর হাসপাতাল সংলগ্ন ৫০ শয্যার ডেডিকেটেড হাসপাতালে রোগী ভর্তি রয়েছে ৫৬ জন। সংকট পূরণে খুলনা ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে আনা হয়েছে চিকিৎসক ও নার্স। এক ধরনের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বাগেরহাটে।
বাগেরহাট সদর হাসপাতাল কোভিড ইউনিটে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট থাকলেও নেই আইসিউ সুবিধা।আইসিউ সেবা দিতে না পারায় রোগী স্থানান্তর করতে হচ্ছে খুলনাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে।
সদর হাসপাতালে ৫০ শয্যার কোভিড ডেডিকেটেড ইউনিটে ১০ জন চিকিৎসক ও ১২ জন নার্স রয়েছে। রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন তারা। জুন মাসে ৭৩ জন করোনা রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রতিদিন অন্তত ৪০ জনের উপরে ছিল রোগীর সংখ্যা। জুলাই মাসে এই রোগীর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। রোববার দুপুরে ৫০ শয্যার এই কোভিড হাসপাতালে রোগী ছিল ৫৬ জন।
শনাক্তের হার বিবেচনায় এটিকে সংক্রমণের দ্রুত উর্দ্ধগতির বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছেন সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির।
তিনি বলেন, "গেল ২৪ ঘন্টায় বাগেরহাটে ৩৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই হিসেবে শনাক্তের হার ৫৪ শতাংশ। এটি খুবই ভয়াবহ পরিস্থিতি। পরিস্থিতি যদি আরও বেশি খারাপ হয়, তাহলে আমাদের পক্ষে সেবা দেওয়া অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়াবে,"
ডা. কেএম হুমায়ুন কবির বলেন, "গেল কিছুদিন ধরে করোনা রোগী খুব বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে রোগীদের লক্ষণও বেড়েছে। যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে। রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা ৫০ শয্যাকে ৭০ শয্যায় রুপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছি। এজন্য ২০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার আনা হয়েছে।"
এছাড়া জেলায় করোনা সংক্রামণ হার ৪৬ শতাংশ হলেও সদর উপজেলায় এই হার ৫৪ শতাংশ। এই সময়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৭৭৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৮৯ জনের। সুস্থ হয়েছে ২ হাজার ৭১৯ জন। সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১ হাজার ৫৪ জন।