শ্রমিকদের অবহেলার কারণে আগুন লাগতে পারে: সজীব গ্রুপ চেয়ারম্যান
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ছয়তলা জুস কারখানায় আগুন লেগে অন্তত ৫২ জন শ্রমিক মারা যাওয়ার পর সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. হাশেম বলেছেন, কারখানায় কাজ চললে আগুন লাগতেই পারে।
তিনি বলেন, 'জীবনে বড় ভুল করেছি ইন্ডাস্ট্রি করে। ইন্ডাস্ট্রি করলে শ্রমিক থাকবে। শ্রমিক থাকলে কাজ হবে। কাজ হলে আগুন লাগতেই পারে। এর দায় কি আমার? আমি তো আর গিয়ে আগুন লাগাইনি, বা আমার কোনো ম্যানেজারও তো আর আগুন লাগায়নি।'
আগুন লাগার ঘটনায় তিনি শ্রমিকদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। বলেছেন, শ্রমিকদের অবহেলার কারণে আগুন লাগতে পারে।
মো. হাশেম সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, কোনো শ্রমিক সিগারেট খেয়ে সিগারেট না নিভিয়ে ফেলেছ, এবং সেখান থেকেই আগুন লেগেছে।
তিনি আরও বলেন, কারখানার বাইরে যারা বিক্ষোভ করছে, তারা শ্রমিক নয়, বহিরাগত।
হাশেম বলেন, কারখানার সাতটি ভবনে ৬০০–৭০০ শ্রমিক কাজ করেন, কিন্তু আগুন লেগেছে মাত্র একটি ভবনে।
ওই ভবনে কতজন কাজ করছিল, জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, অনেকগুলো ইউনিট বন্ধ ছিল বলে আগুন লাগা ভবনটিতে কতজন শ্রমিক ছিল তা এই মুহূর্তে বলা কঠিন।
মো. হাশেম ধারণা করেন, নিচতলায় রাখা বিভিন্ন ধরনের দাহ্য পদার্থের কারণে আগুনের ব্যাপকতা বেড়েছে। তিনি বলেন, 'নিচের তলার কার্টন থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে। ওপরের তলাগুলোতে বিভিন্ন মেশিন ও যন্ত্রপাতি ছিল।'
ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন কি না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমি যাইনি, তবে আমার লোকজন রয়েছে। যারা মারা গেছে, তারা তো আমারই ছেলেমেয়ে। আমি খুব ভেঙে পড়েছি।'
মো. হাশেম আরও বলেন, 'আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে আমার ছেলেমেয়েদের পাশে থাকতে। এটা একটা দুর্ঘটনা। ফ্যাক্টরির সবগুলো ইউনিট চালু ছিল না। তাই লোকজন কম ছিল।'
তিনি আরও দাবি করেন, কারখানায় পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ছিল।
বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটায় সজীব গ্রুপের এই অঙ্গপ্রতিষ্ঠানে আগুন লাগে। এতে কারখানার ভবনের ভেতরে ৫০ জনের বেশি শ্রমিক আটকা পড়েন।