সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল হাসেমের গ্রামে সুনসান নীরবতা, মুখ খুলছে না গ্রামবাসী
সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেমের গ্রামের সবখানেই থমেথমে নীরবতা। গ্রামের কোনো মানুষই মুখ খুলে কোনো তথ্য জানাতে চাচ্ছে না। শনিবার (১০ জুলাই) তার বাড়িতে গেলে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেমের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী সদর উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের বালুচরা গ্রামে। কিন্ত জন্ম থেকেই লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজার এলাকায় বেড়ে ওঠার কারণে তিনি ভোটার হয়েছেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায়। ২০০৮ সালে লক্ষ্মীপুর-৩ আসন থেকে আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছিলেন।
দুর্ঘটনা কবলিত সেজান জুস ফ্যাক্টরিতে হাসেমের গ্রামের কোন ব্যক্তি আহত কিংবা নিহত হওয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
বালুচরা গ্রামে কথা হয় মতিউর রহমান(৭০) নামের এক বৃদ্ধের সাথে। তিনি জানান, তার ছেলে জয়নাল আবদীন রুপগঞ্জের দুর্ঘটনা কবলিত ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো। কিন্ত দুর্ঘটনার সময় নিচে থাকার কারণে প্রাণে বেঁচে গেছেন। তবে এখনো বাড়ি ফিরতে পারেনি ছেলে জয়নাল।
গ্রামের মহিউদ্দিন নামের আরেকজন জানান, আগে গ্রামের বহু ব্যক্তি সজীব গ্রুপে চাকরি করলেও গত ২-৩ বছর থেকে এলাকার লোককে সজীব গ্রুপ থেকে ছাটাই করা হয়। সে কারণে এখন লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর লোকজন সজীব গ্রুপে তেমন নেই।
জানা গেছে, সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম দীর্ঘদিন থেকে নিজ গ্রামে আসেননি। সে কারণে গ্রামের তরুণদের নিকট তিনি তেমন পরিচিত না। বালুচর গ্রামে তাদের পরিত্যক্ত ভবন দেখেই সে তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। রহমান নামের এক তরুণ পুরাতন ও পরিত্যক্ত একটি ভবন দেখিয়ে জানালো, সেটি আবুল হাসেমদের থাকার ঘর। আগে মাঝে মধ্যে আসলেও ২০০৮ সালের পর তিনি আর গ্রামে আসছেন না।
এলাকার স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয় ব্যবসায়ী মরহুম ইব্রাহীম মিঞার ৬ ছেলে এবং ৪ মেয়ের মধ্যে আবুল হাসেম সবার বড়। বাবা মরহুম ইব্রাহীম মিঞার আজিজ বিড়ির ব্যবসা বদল হয়ে বর্তমানে সজীব গ্রুপে পরিণত হয়।
নোয়াখালীর বালুচর গ্রাম ও লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ বাজারে আবুল হাসেমের বাবা ইব্রাহীম মিঞার নামে ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি মাদরাসা এবং একটি এতিমখানা রয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানগুলো বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত হলেও ইব্রাহীম মিঞার ছেলেরা বর্তমানে গ্রামের এ প্রতিষ্ঠানগুলোর তেমন খোঁজ খবর রাখেন না।