ঈদযাত্রার ১৫ দিনে দুর্ঘটনায় ২৯৫ প্রাণহানি
বিদায়ী ঈদযাত্রায় আগে-পরে ১৫ দিনে ২৪০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭৩ জন নিহত ও ৪৪৭ জন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ-পথ সব মিলিয়ে ২৯৫ জন নিহত ও ৪৮৮ জন আহত হয়েছে, যা বিগত ছয় বছরে সর্বোচ্চ বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় হার সর্বোচ্চ অর্থাৎ ৯৩ জন নিহত হয়েছেন বলেও দাবি করেছেন সংগঠনটি।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে 'ঈদ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন ২০২১' উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। অনলাইন, প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে (১৪-২৮ জুলাই) এ প্রতিবেদনটি করেছে সংগঠনটি।
সংগঠনটির তথ্যমতে, গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ২৪২ জন ও আহত হয়েছেন ৩৩১ জন। গত ছয় বছরে ১২৮৮টি দুর্ঘটনায় ১৫০০ জন নিহত ও ৪৩৫৬ জন আহত হয়েছেন।
এবারে দুর্ঘটনায় ২৮.৪৮ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২৮.৭৮ শতাংশ ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান-লরি, ৭.৪১ শতাংশ কার-মাইক্রো-জিপ, ৮.৬০ শতাংশ নছিমন-করিমন-ট্রাক্টর-লেগুনা-মাহিন্দ্রা, ১০.৩৮ শতাংশ অটোরিকশা, ৭.৭১ শতাংশ ইজিবাইক-ভ্যান-সাইকেল ও ৮.৬০ শতাংশ বাস জড়িত ছিল।
এ বছর দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৩৩.৩৩ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৪৩.৩৩ শতাংশ অলিক মহাসড়কে, ১৮.৩৩ শতাংশ ফিডার রোডে এবং ০.৮৩ শতাংশ রেল ক্রসিং এ সংঘটিত হয়। এছাড়াও সারাদেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৩.৩৩ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ০.৮৩ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে সংঘটিত হয়।
সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, "বিগত ঈদগুলোতে সরকারের নানা মহলের তৎপরতা থাকায় দুর্ঘটনার লাঘাম কিছুটা টেনে ধরা সক্ষম হলেও কঠোর লকডাউনের কারণে মানুষের যাতায়াত সীমিত থাকার পরেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় এবারের ঈদযাত্রায় সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি তুলনামূলকভাবে বেড়েছে"।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।