স্কুলে মেয়ের চুল কেটে দেওয়ায় বিশাল অঙ্কের মামলা করলেন বাবা
বাবা-মায়ের অনুমতি না নিয়েই এক সাত বছর বয়সী মেয়ের চুল কেটে দিয়েছিল স্কুলের এক শিক্ষিকা। ব্যাপারটা ভালোভাবে নেয়নি শিক্ষার্থীর বাবা। স্কুলের বিরুদ্ধে সেটে দিয়েছেন বিশাল অঙ্কের মামলা।
ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে। মামলার অঙ্ক প্রায় ১০ লাখ মার্কিন ডলার (৮.৫২ কোটি টাকা)।
জিমি হফমেয়ারের এই মামলায় বলা হয়েছে তার মিশ্র বংশের মেয়ের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। মেয়ের চুল আফ্রিকান-আমেরিকানদের মতো হওয়ায় এই চুল কাটানোর পিছনে বর্ণবাদী মানসিকতাও দেখছেন তিনি।
হফমেয়ার জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে তার মেয়েকে সেই স্কুল থেকে ছাড়িয়েও নিয়েছেন তিনি।
গত জুলাইয়ে, মিশিগানের মাউন্ট প্লেসেন্ট জেলার পাবলিক স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে হওয়া এক তদন্তে বলা হয়, উপরোক্ত শিক্ষিকা স্কুলের নীতি ভঙ্গ করলেও বর্ণবাদী পক্ষপাতমূলক আচরণ করেননি।
কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাকে তিরস্কার করা হলেও সেই শিক্ষিকাকে চাকরিতে বহাল রাখা হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের মতে, হফমেয়ার পশ্চিম মিশিগানের একটি ফেডারেল আদালতে মাউন্ট প্লেসেন্ট পাবলিক স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং তাদের দুই শিক্ষাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের পাশাপাশি শিশুটির উপর বর্ণ বৈষম্য, জাতিগত ভীতি প্রদর্শন ও মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়েছে, জেলা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ "তাদের কর্মচারীদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ, পর্যবেক্ষণ, নির্দেশ, নিয়ন্ত্রণ এবং তত্ত্বাবধান করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং তারা জানতো বা তাদের জানা উচিত ছিল যে এরকম অনুপযুক্ত প্রশিক্ষণ, পদ্ধতি, নীতিমালা ও শৃঙ্খলার অভাবে তাদের কর্মচারীরা অভিযুক্ত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হবে।"
আসামিপক্ষের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি, এবং জেলা পাবলিক স্কুল কর্তৃপক্ষও এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
- সূত্র: বিবিসি