জর্ডান পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত সাবিনা-কৃষ্ণারা
লিগের পর শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সারতে নেপাল সফরে যায় বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। স্বাগতিকদের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। যে আসরকে ঘিরে এই পস্তুতি, সেই এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের খেলা দুয়ারে। প্রথম ম্যাচে জর্ডানের বিপক্ষে মাঠে নামছেন সাবিনা-কৃষ্ণারা। এই ম্যাচের আগে বাংলাদেশের কোচ গোলাম রব্বানী জানালেন, জর্ডান শক্তিশালী হলেও তার দল প্রস্তুতি নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে।
উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দের বুনিয়দকর স্টেডিয়ামে 'জি' গ্রুপের বাছাইয়ে রোববার জর্ডানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় বেলা ৪টায় শুরু হবে।
জর্ডানের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবধান বুঝতে শুধু র্যাঙ্কিংয়ের দিকে তাকালেই চলবে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৭৪ ধাপ এগিয়ে জর্ডান। বর্তমানে ৬৩ নম্বরে আছে তারা, বাংলাদেশের অবস্থান সেখানে ১৩৭ নম্বরে।
এরপরও দলকে নিয়ে আশাবাদী গোলাম ছোট রব্বানী। এ পথে তার আত্মবিশ্বাসের জায়গা ভালো প্রস্তুতি। যদিও নেপালে খেলা দুটি ম্যাচের একটিতেও জেতেনি বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ২-১ গোলে হার মানা সাবিনা খাতুনের দল পরের ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করে। বাংলাদেশের কোচ বলেন, 'জর্ডানের বিপক্ষে মেয়েরা তাদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত। আশা করছি খুব ভালো একটা ম্যাচ দেশবাসীকে উপহার দিতে পারব। আমরা দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থী।'
করোনাকালের প্রস্তুতিতে বাফুফে ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতার বিষয়টি উল্লেখ করে গোলাম রব্বানী বলেন, 'বাফুফে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মহামারীর সময়ে মেয়েদের প্রশিক্ষণের জন্য খেলার মাঠ ও আবাসনের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে। করোনার মধ্যেও আমাদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা হয়নি। বাফুফে সব সময় মেয়েদের সব সুযোগ-সুবিধার কথা বিবেচনা করেছে। এই প্রতিযোগিতায় আসার পূর্ব প্রস্তুতির ক্ষেত্রে আমাদের কোনো অসুবিধা হয়নি।'
সর্বশেষ ২০১৪ সালে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে খেলেছে বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে হলেও সেই অভিজ্ঞতা মোটেও মনে রাখার মতো হয়নি বাংলাদেশের। তিনটি ম্যাচেই বড় ব্যবধানে হার মানে ঘরের মাঠের দলটি। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ৯-০ গোলের হারে শুরু হয়। এরপর ইরানের বিপক্ষে ২-০ এবং ফিলিপিন্সের বিপক্ষে ৪-০ গোলে হেরে যায় বাংলাদেশ।