মেসি-নেইমারদের দুই রকম রাত
কাতার বিশ্বকাপে লাতিন অঞ্চলের বাছাই পর্বে তাদেরই দাপট, সেটাই হওয়ার কথা। কিন্তু রোববার রাতে দুই রকম অভিজ্ঞতা হলো আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের। উরুগুয়ের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা বড় জয় পেলেও থেমে গেছে ব্রাজিলের জয়রথ। কলম্বিয়ার বিপক্ষে ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন নেইমাররা। টানা ৯ ম্যাচ পর পয়েন্ট হারালো তারা।
রোববার রাতে বুয়েনস এইরেসে উরুগুয়েকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসি দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর প্রথমার্ধেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রদ্রিগো দে পল। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান আরও বাড়ান লাউতারো মার্তিনেজ। কলম্বিয়ার মাঠে গিয়ে সুবিধা করতে পারেনি ব্রাজিল। স্বাগতিক হওয়ায় ফায়দা তুলতে পারেনি কলম্বিয়াও। ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে।
লাতিন অঞ্চলের বাছাইয়ে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে ব্রাজিল। ১০ ম্যাচের কোনোটিতেই হারেনি পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ৯ জয় ও এক ড্রয়ে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে নেইমারদের দেশ। ব্রাজিলের মতো অপরাজিত আছে আর্জেন্টিনাও। তবে তাদের জয়ের পরিমাণ কম। ১০ ম্যাচে ৬ জয় ও ৪ ড্রয়ে ২২ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে লিওনেল মেসির দেশ।
২০১২ সালের পর প্রথমবারের মতো উরুগুয়ের জালে তিনবার বল পাঠানোর ম্যাচে দাপুটে ফুটবল খেলেছে আর্জেন্টিনা। বল দখল ও আক্রমণে সুয়ারেজদের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিলেন মেসি-দে পলরা। ম্যাচে ৬৩ শতাংশ সময় বল দখলে রাখে আর্জেন্টিনা। অবিরত আক্রমণে উরুগুয়েকে দিশেহারা করে তোলা আর্জেন্টিনা গোলমুখে শট নেয় ২৩টি, এর মধ্যে ১০টি ছিল লক্ষ্যে। উরুগুয়ের নেওয়া ১০টি শটের ৬টি ছিল লক্ষ্যে।
আরেক ম্যাচে বল দখলে ব্রাজিল এগিয়ে থাকলেও আক্রমণ বেশি সাজিয়েছে কলম্বিয়া। ম্যাচে ৬৪ শতাংশ সময় বল নিজেদের পায়ে রাখেন নেইমার-হেসুসরা। তারা গোলমুখে শট নিয়েছে ৯টি, এর মধ্যে ৪টি ছিল লক্ষ্যে। কলম্বিয়ার নেওয়া ১২টি শটের ৪টি ছিল লক্ষ্যে।
উরুগুয়ের বিপক্ষে ৩৮তম মিনিটে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। মেসির উঁচু করে বাড়ানো বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি নিকোলাস গঞ্জালেস। এগিয়ে এসে বলের নাগাল পাননি উরুগুয়ে গোলরক্ষকও, বল জড়ায় জালে! আর্জেন্টিনার জার্সিতে এটি মেসির ৮০তম গোল, যা লাতিন অঞ্চলের সর্বোচ্চ।
৪৪তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান রদ্রিগো দে পল। মেসির বাড়ানো বল এক জনের গায়ে লাগলে পেয়ে যান লাউতারো মার্তিনেজ। তিনি ঠিক মতো শট নিতে পারেননি। কেউ পরিষ্কার করার আগেই ছুটে গিয়ে বল জালে জড়ান দে পল। দেশের জার্সি এটি দ্বিতীয় গোল আতলেতিকো মাদ্রিদের এই মিডফিল্ডারের। ৬২তম মিনিটে আর্জেন্টিনার হয়ে তৃতীয় গোল করেন মার্তিনেজ।