নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন ভারত
প্রথমার্ধে ভারতের অবিরত আক্রমণ সামাল দিয়ে নিজেদের জাল অক্ষতই রাখে নেপাল। মানসিকভাবে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে গেলেও গোল না হজম করার কিছুটা স্বস্তিও ছিল তাদের। কিন্তু বিরতি থেকে ফিরে কয়েক মুহূর্তেই নেপালের রক্ষণভাগ গুঁড়িয়ে দেন সুনীল ছেত্রি-সুরেশ সিংরা। পরে আরও একবার নেপালের জালে বল জড়ায় ভারত। বড় জয়ে সাফের শিরোপা নিজেদের করে নিলো তারা।
শনিবার মালদ্বীপের জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়ামে সাফের ফাইনালে নেপালকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। দলের পক্ষে একটি করে গোল করেন অধিনায়ক সুনীল ছেত্রি, সুরেশ সিং ও সাহাল আব্দুল সামাদ। ২০১৫ সালের পর প্রথমবারের মতো সাফের চ্যাম্পিয়ন হলো ভারত।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ মানেই ভারতের রাজত্ব। ১৯৯৩ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এই ফুটবল আসরের রেকর্ড অষ্টম শিরোপা জিতলো দেশটি। শিরোপা জয়ের হিসাবে তাদের ধারে কাছেও কোনো দেশ নেই। দুবার শিরোপা জিতেছে মালদ্বীপ। এ ছাড়া একবার করে জিতেছে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান।
শুরুর পর থেকে এবারের সাফসহ মোট ১৩টি আসর অনুষ্ঠিত হলো। এর মধ্যে ভারত ফাইনাল খেলেছে ১২ বার, আটবারই শিরোপা জিতেছে তারা। ২০০৩ সালে মালদ্বীপকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। শুধু এই আসরেই ফাইনাল খেলতে পারেনি ভারত। সেবার তৃতীয় স্থান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।
এবারের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেনি প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠা নেপাল। বল দখল ও আক্রমণে একক আধিপত্য বিস্তার করে খেলে গেছে রেকর্ড আটবারের চ্যাম্পিয়নরা। ৬৩ শতাংশ সময় বল দখলে রাখা ভারত গোলমুখে ১৯টি শট নেয়। এরমধ্যে ৮টি লক্ষ্যে ছিল। নেপালের নেওয়া ৬টি শটের একটি লক্ষ্যে ছিল।
বাংলাদেশ এবারের আসরে দারুণ শুরু করেও ফাইনালের টিকেট কাটতে পারেনি। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারানো জামাল ভূঁইয়ার দল দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ড্র করে। তৃতীয় ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে হেরে যাওয়ায় ফাইনালে উঠতে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নেপালকে হারাতেই হতো বাংলাদেশকে। কিন্তু এই মাচে ড্র করে ৫ পয়েন্ট নিয়ে বিদায় নিতে হয় বাংলাদেশকে।