ডাবল হ্যাটট্রিকে বিশ্বকাপে ইতিহাস ক্যাম্পারের
কার্টিস ক্যাম্পারের করা প্রথম ওভারটা একেবারেই ভালো গেল না, খরচা ১২ রান। আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক অ্যান্ডি ব্যালবার্নি তাই একটু বিরতি নিলেন। এক ওভার বিরতি দিয়ে আবার ক্যাম্পারের হাতে বল তুলে দিলেন ব্যালবার্নি। এই ওভারের শুরুটাও ভালো হলো না আয়ারল্যান্ডের ডানহাতি এই পেসারের। শুরু করলেন ওয়াইড দিয়ে। কিন্তু এক বল পরই উইকেট বৃষ্টি ঝরানো শুরু করলেন ক্যাম্পার। টানা চার বলে চার উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসের প্রথম বোলার হিসেবে ডাবল হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়লেন তিনি।
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সোমবার আবুধাবিতে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হয়েছে আয়ারল্যান্ড। এই ম্যাচের দশম ওভারের দ্বিতীয় বল থেকে টানা ৪টি উইকেট তুলে নেন ক্যাম্পার। তার শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন কলিন আকারম্যান, রায়ান টেন ডেসকাট, স্কট এডওয়ার্ডস ও রুলফ ফন ডার মেরওয়া।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়ার ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি ব্রেট লির পাশে নিজের নামটি বসিয়েছেন ক্যাম্পার। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে এতোদিন শুধু ব্রেট লি-ই হ্যাটট্রিকের মালিক ছিলেন। ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন সাবেক এই অজি গতি তারকা। দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এই কীর্তির মালিক হলেন আয়ারল্যান্ডের হয়ে ৪টি টি-টোয়েন্টি খেলা ক্যাম্পার।
তবে ডাবল হ্যাটট্রিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একক রেকর্ডের মালিক হলেন ক্যাম্পার। টি-টোয়েন্টিতেই এই রেকর্ড আছে আর কেবল দুটি। সর্বপ্রথম এই রেকর্ডটি গড়েন আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার রশিদ খান। ২০১৯ সালে আয়ারলর্যান্ডের বিপক্ষে টানা চার বলে চার উইকেট নেন তিনি। একই বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চার বলে চার উইকেট নেন শ্রীলঙ্কার সাবেক পেসার লাসিথ মালিঙ্গা।
কার্টিস ক্যাম্পার-মার্ক অ্যাডায়ারদের দারুণ বোলিংয়ে ১০৬ রানেই গুটিয়ে গেছে নেদারল্যান্ডসের ইনিংস। ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন ক্যাম্পার। আয়ারল্যান্ডের আরেক ডানহাতি পেসার অ্যাডায়ার আরও আগুনে বোলিং করেছেন। ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।