কুমিল্লার মন্ডপে কোরআন রেখেছিল একজন চিহ্নিত মাদকসেবী
কুমিল্লার নানুয়াদীঘির পাড়ে মণ্ডপ থেকে হনুমানের গদা নিয়ে এসে ঘুরছে এক যুবক। এমন একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। তার নাম ইকবাল হোসেন।
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, ইকবাল হোসেন হনুমানের হাতে থাকা গদাটি নিয়ে বাড়ির দিকে চলে যায়। সিসিটিভি ফুটেজটি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডর্ডের হাতে এসেছে।
কুমিল্লা নগরীর ১৭ নং ওয়ার্ডের দ্বিতীয় মুরাদপুর লস্করপুকুর এলাকার নূর আহমেদ আলমের ছেলে ইকবাল। নূর আলম মাছ ব্যবসা করেন।
ইকবালের মায়ের নাম আমেনা বেগম। তিনি জানান, তার ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে। ইকবাল সবার বড়। ১৯৯০ সালের ৬ আগস্ট তার জন্ম।
ইকবাল ১৫ বছর বয়স থেকেই নেশা করা শুরু করেন। দশ বছর আগে প্রথম বিয়ে করেন। এক ছেলে হয় সেই সংসারে। বিয়ের পাঁচ বছর পর স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় তার। তারপর ইকবাল জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাদৈর গ্রামে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় সংসারে তার এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে।
ইকবালের মা আরও জানান, তার ছেলে নেশাগ্রস্ত হয়ে নানাভাবে পরিবারের সদস্যদের ওপর অত্যাচার করতেন। বেশিরভাগ সময়ই তিনি বাড়িতে থাকেন না। ইকবাল বিভিন্ন মাজারে থাকেন। তার পড়াশোনা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত।
আমেনা বেগম বলেন, বছর দশেক আগে মারামারির সময় ইকবাল ছুরির আঘাত পান। এরপর থেকে তিনি অপ্রকৃতস্থ ও নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
তিনি আরও জানান, তিনি কাউন্সিলরের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, ইকবাল পূজামণ্ডপ থেকে হনুমানের গদা নিয়ে এসেছে।
ইকবালের মা, তার ছোট ভাই রায়হান ও নানি রহিমার দাবি, ইকবাল কারো প্ররোচনায় এমন কাজ করতে পারেন।
স্থানীয় কাউন্সিলর সৈয়দ সোহেল টিবিএসকে বলেন, গত ১০ বছর ধরে তিনি ইকবালকে চেনেন। ইকবাল রঙমিস্ত্রির কাজ করতেন। তার ইয়াবাসেবন নিয়ে অনেক বিচার-সালিশ করতে হতো বলেও জানান সোহেল।