খেলাপি ঋণ কমাতে প্রয়োজন যথার্থ পর্যবেক্ষণ ও দৃশ্যমান ব্যবস্থা
ব্যাংকিং খাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা খেলাপি ঋণ কমাতে হলে এ ঋণ মাত্রাতিরিক্তভাবে বাড়ার কারণগুলো খুঁজে বের করে যথার্থ পর্যবেক্ষণ ও দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সম্প্রতি রাজধানীতে 'দ্য লয়্যার্স অ্যান্ড জুরিস্ট নামে' একটি ল ফার্মের আয়োজনে 'করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার- কতোটা প্রস্তুত ব্যাংকিং খাত' শীর্ষক এক আলোচনায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
সাবেক এই গভর্নর বলেন, "যে ব্যাংকগুলো সিআরআর, এসএলআর রাখতে পারছেনা তাদেরকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন সুযোগ দিচ্ছে, এটা ব্যাংকিং খাতের জন্য ভালো দিক নয়। এক প্রতিষ্ঠানকে এ ধরণের সুবিধা পেলে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো একই ধরণের কাজ করবে।"
দেশের ই-কমার্স খাতের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, "ই-কমার্স খাতে এখন যে ধরনের অনিয়ম দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে আমাদের কম্পিউটার লিটেরিসি এবং আইটি লিটেরিসিতে অভিজ্ঞ লোকের অভাব রয়েছে। যার কারণে এ ধরণের সমস্যা ব্যাপকতা লাভ পাচ্ছে।"
তিনি আরও বলেন, "কেন্দ্রীয় ব্যাংকের করোনাকালে প্রণোদানা প্যাকেজ খুবই উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাস্তবায়ন হয়েছে। তবে ছোট ছোট উদ্যোক্তারা তেমন ঋণের টাকা পায়নি। এসএমই সেক্টর এখনও বঞ্চিত হচ্ছে। আমি নিজেও অনেকের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়গুলো জেনেছি। তাই প্রান্তিক পর্যায়ে এসএমই ও কৃষিখাতসহ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খাতে ঋণের দিতে হবে।"
আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বলেন, বাধা সৃষ্টির পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেশের ই-কমার্স শিল্পের বিকাশের জন্য উপযুক্ত নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, "প্রযুক্তির এই যুগে, যখন বাংলাদেশের আইসিটি খাত ক্রমবর্ধমানভাবে প্রসারিত হচ্ছে, আসুন আমরা ই-কমার্স ব্যবসার অগ্রগতিতে বাধা না দেই।"
ড. মশিউর রহমান বলেন, "বেশ কিছু ই-কমার্স কোম্পানি তাদের গ্রাহকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা নিয়েছে। কিন্তু যারা অতিরিক্ত লাভের আশায় টাকা দিয়েছে তাদেরও বিষয়টি ভালোভাবে বোঝা উচিত ছিল।"
তিনি বলেন, "আমি তাদের আরও সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। তাছাড়া, সরকারের পক্ষ থেকেও ক্ষতিপূরণ দেওয়া ঠিক নয়। আমি আশা করি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ই-কমার্স সাইট নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সীমাবদ্ধতাগুলো সমাধান করবে।"