চট্টগ্রামের চশমা খালে নিখোঁজ শিশুর লাশ তিনদিন পর মিলল মির্জা খালে
চট্টগ্রামে খালে পড়ে নিখোঁজের চতুর্থ দিনে শিশু কামালের (১১) লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে নগরীর এন মোহাম্মদ প্লাস্টিকের সামনে মির্জাখাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক ফরিদ আহমদ লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শিশুটি নিখোজ হওয়ার পর ৩ দিন ধরে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত ছিলো। অবশেষে মির্জাখালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার দুপুরে নিখোঁজ হয় কামাল। নিখোঁজের ১ দিন পর মঙ্গলবার বিকাল থেকে শিশুটিকে উদ্ধারে নামে ফায়ার সার্ভিস। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে প্রথমদিনের উদ্ধার অভিযান শেষে বুধবার সকাল নয়টা থেকে আবারও উদ্ধারে নামে ফায়ার সার্ভিস।
সোমবার বিকাল ৪টার দিকে নিখোঁজ কামাল ও তার বন্ধু রাকিবকে নিয়ে ভূমি অফিসের সামনে চশমা খালে সাঁতার কাটতে গিয়ে পানিতে ভেসে যায়। ওই সময় পানির স্রোতে কামাল ভেসে গেলেও দেওয়ালে ধাক্কা খেয়ে প্রাণে বেঁচে যায় তার বন্ধু রাকিব।
নিখোঁজের পর রাকিব বিষয়টি তার বাবাকে জানালে কামালের বাবা ভয়ে কাউকে না জানিয়ে কয়েক দফা নিজে খোঁজাখুজি করেও পাননি। পরদিন মঙ্গলবার সকালেও খোঁজাখুজি করে না পেয়ে বিকাল ৩টার দিকে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের তিন ইউনিট উদ্ধার কাজ শুরু করে।
নিখোঁজ শিশু কামালের বাবা কাউসার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, আমার চার সন্তানের মধ্যে কামাল সবার ছোট। সোমবার তার বন্ধু রাকিবকে নিয়ে খেলতে বের হয়ে চশমা খালে পানিতে ভেসে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে পত্রিকা বিক্রি করতো। আমার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর চার সন্তানকে নিয়ে ষোলশহর স্টেশনের ফুটপাতে থাকতাম।
প্রসঙ্গত : গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাদামতলী এলাকায় নালায় পড়ে মারা যান সেহরিন মাহমুদ সাদিয়া নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী।
গত ২৫ আগস্ট ভারি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে মুরাদপুর এলাকায় নালায় পড়ে তলিয়ে যান সালেহ আহমদ নামের এক সবজি ব্যবসায়ী। যার খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি। চলতি বছরের ৩০ জুনও ষোলশহর চশমা হিল এলাকায় খালে পড়ে যায় একটি অটোরিকশা। স্রোত থাকায় খালে তলিয়ে মারা যান চালক সুলতান (৩৫) ও যাত্রী খাদিজা বেগম (৬৫)।