জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সরকারি ভবনে আগুন, কাজাখ মন্ত্রিসভার পদত্যাগ
দেশজুড়ে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির কারণে শুরু হওয়া জনগণের সহিংস বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছে কাজাখস্তানের মন্ত্রিসভা।
বিক্ষোভে অন্তত ১০০ জন পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার পর আজ বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভের কাছে পদত্যাগপত্র পেশ করেছে প্রধানমন্ত্রী আসকার মমিনের নেতৃত্বাধীন সরকার। খবর সিএনএনের।
প্রেসিডেন্ট পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন, এবং তাৎক্ষণিকভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আলিখান স্মাইলভকে নিয়োগ দিয়েছেন। স্মাইলভ এর আগে প্রধান উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
মধ্য এশিয়ার দেশটিতে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ব্যবহার ব্যাপক। খরচ কম হওয়ায় দেশটির অনেক ব্যক্তিগত গাড়িতে এলপিজি ব্যবহার করা হয়।
কিন্তু গত শনিবার কাজাখ সরকার এলপিজির দাম দ্বিগুণের চেয়েও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। যার প্রতিবাদে পরদিন রোববার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে বিক্ষোভ শুরু হয়, যা দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে পুরো দেশে।
এরপর গতকাল কাজাখস্তানের সবচেয়ে বড় শহর আলমাতিতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে পুলিশকে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়তে দেখা যায়।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এ বিক্ষোভে অন্তত পাঁচ হাজার জন্য উপস্থিত ছিলেন।
গত কয়েকদিন ধরেই মধ্য এশিয়ার দেশটির বড় অংশ জুড়ে মোবাইল ইন্টারনেট এবং মেসেজিং অ্যাপগুলো ব্লক করে রাখা হয়েছে।
কর্তৃত্ববাদী সরকার ব্যবস্থা থাকার পরও গত তিন দশক ধরে তেল ও ধাতুশিল্পের জন্য শত শত কোটি ডলার বিদেশি বিনিয়োগ পেয়ে আসছে কাজাখস্তান। কিন্তু এই বিক্ষোভ ও সরকার পতনের ফলে বহির্বিশ্বে দেশটির বহুদিনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আলমাতি ছাড়াও দেশটির বেশ কিছু প্রধান শহরের সরকারি ভবনগুলোতে হামলা হয়েছে গত কয়েকদিনে। এসময় বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পুলিশের শতাধিক কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।