চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে খোলা থাকবে অফিস, থাকবে না সেনা মোতায়েন: ইসি
আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে অফিস-আদালত খোলা রেখে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের, তবে এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম এ কথা জানিয়েছেন। শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে কখনো সেনা মোতায়েন করা হয়নি। তাই চসিক নির্বাচনেও সেনা থাকবে না।
তিনি বলেন, 'তবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পরিচালনার কারিগরি দিকটি সেনাবাহিনী দেখবে। এজন্য ভোটকেন্দ্রে সেনা সদস্যদের উপস্থিতি থাকবে। আইনশৃঙ্খলা দেখবে পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনী।'
এর আগে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন নির্বাচনে প্রত্যেক ভোটকক্ষে সেনাবাহিনী মোতায়েনের আহ্বান জানান।
নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, চসিক নির্বাচন পেছানো সম্ভব নয়। এপ্রিলে রমজান, এসএসসি পরীক্ষা এবং বর্ষা থাকবে। তাই মার্চেই নির্বাচন সম্পন্ন হবে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনীর হোসাইন খান প্রমুখ।
এর আগে ১৬ ফেব্রুয়ারি, রোববার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৯ মার্চ এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে।
নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আলমগীর চসিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ মার্চ ও প্রত্যাহার ৮ মার্চ। প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ৯ মার্চ।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি, শনিবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় চসিক নির্বাচনে বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে বাদ দিয়ে নৌকার প্রার্থী করা হয়েছে নগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরীকে।