আরেকটি সাকিবময় ম্যাচ, দুরন্ত বরিশাল
দুর্বার সাকিব আল হাসানে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে ফরচুন বরিশাল। নেতা হলে কীভাবে দলকে পথ দেখাতে হয়, সেটার দৃষ্টান্ত রেখে যাচ্ছেন বরিশালের অধিনায়ক। চট্টগ্রাম পর্বে টানা তিন ম্যাচে জেতে বরিশাল, ব্যাটে-বলে আলো ছড়িয়ে দুটিতে ম্যাচেসেরার পুরস্কার জেতেন সাকিব। সিলেটেও সেই ধারা ধরে রাখলেন তিনি। দারুণ পারফরম্যান্সে দলকে এনে দিলেন জয়, পকেটে পুরলেন টানা তৃতীয় ম্যাচসেরার পুরস্কার।
সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৩২ রানে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। এই জয়ে কুমিল্লাকে টপকে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে গেছে বরিশাল। ৮ ম্যাচে ৫ জয়ে ১১ পয়েন্ট (একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় এক পয়েন্ট) বরিশালের ঝুলিতে। ৭ ম্যাচে ৪ জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে কুমিল্লা।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে ফরচুন বরিশাল। ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার ও সাকিবের ব্যাটে ৫ উইকেটে ১৫৫ রান তোলে তারা। জবাবে সাকিব, নাঈম হাসান, ডোয়াইন ব্রাভোদের দারুণ বোলিংয়ে ৯ উইকেটে ১২৩ রানে থামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই দিক হারায় কুমিল্লা, এরপর আর ধকল কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা। পুরো ইনিংসজুড়ে ধুঁকেছে বিপিএলের দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। দলটির চারজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি।
ওপেনার লিটন কুমার দাস ১৯, মুমিনুল হক ৩০, করিম জানাত ১৭ ও তানভীর ইসলাম ২১ রান করেন। বাকিরা উইকেটে গেছেন আর ফিরেছেন। বরিশালের ডানহাতি স্পিনার নাঈম হাসান ৪ ওভারে ২৯ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন। সাকিব ও ব্রাভো ২টি করে উইকেট পান। এ ছাড়া নাজমুল ইসলাম শান্ত একটি উইকেট পান।
এর আগে ব্যাটিং করা বরিশালের শুরুটা একেবারে খারাপ ছিল না। ৩.৪ ওভারে ৩২ রান যোগ করেন দুই ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার ও ক্রিস গেইল। আগের কয়েক ম্যাচে অনুজ্জ্বল থাকা গেইল এই ম্যাচেও রানের দেখা পাননি। ক্যারিবীয় এই ব্যাটিং দানব ৮ বলে ২টি চারে ১০ রান করে আউট হন।
এরপর দ্রুতই ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সাকিবের সঙ্গে জুটি বেধে আরেকটু সময় পাড়ি দেন মুনিম। ফেরার আগে ২৫ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৫ রান রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। এরপর তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটি গড়েন দারুণ ব্যাটিং করা সাকিব।
চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৩৭ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫০ রান করেন বরিশালের অধিনায়ক। তৌহিদ ধীর লয়ে ৩৭ বলে ২টি চারে ৩১ রান করেন। ডোয়াইন ব্রাভো ১০ রান করেন। কুমিল্লার স্পিনার তানভীর ইসলাম ২টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান মুস্তাফিজুর রহমান, মঈন আলী ও করিম জানাত।