কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ 'সীমিত' করার চুক্তি বাস্তবায়ন করবে তুরস্ক
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু জানিয়েছেন, কৃষ্ণ সাগরে যুদ্ধজাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মন্ট্রেক্স চুক্তি 'স্বচ্ছতার' সঙ্গে বাস্তবায়ন করবে তুরস্ক। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনকে 'যুদ্ধ' হিসেবে আখ্যা দিয়ে এ কথা জানান তিনি।
সিএনএন তুরস্কের সরাসরি এক সাক্ষাৎকারে কাভুসোগলু বলেন, "তুরস্ক স্বচ্ছতার সঙ্গে মন্ট্রেক্স কনভেনশনের সমস্ত বিধান বাস্তবায়ন করবে।"
১৯৩৬ সালের মন্ট্রেক্স কনভেনশন অনুসারে, ভূমধ্যসাগর ও কৃষ্ণ সাগরকে সংযুক্তকারী দার্দানেলিস ও বসফরাফ প্রণালীর ওপর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ন্যাটোর মুসলিম সদস্য দেশ তুরস্কের। ফলে যুদ্ধের সময় অথবা কোনো হুমকি মুখোমুখি হলে, এই প্রণালীগুলোতে যুদ্ধজাহাজের চলাচল বন্ধ রাখা বা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রয়েছে দেশটির হাতে।
তুরস্কের এই কূটনীতিক ইউক্রেন সংকট নিয়ে এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভা-মারিয়া লিমেটসের পাশাপাশি ডাচ প্রতিপক্ষ ওয়াপক হোয়েকস্ট্রা এবং সিকিউরিটি অ্যান্ড কোঅপরেশন ইন ইউরোপ (ওএসসিই)-এর মহাসচিব হেলগা স্মিদের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন।
এছাড়া, তিনি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্টোনিও গুতেরেসের সঙ্গে কথোপকথনের সময় মানবিক সংকট ও ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেন।
এর আগে রোববার ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণকে 'যুদ্ধ' হিসেবে অভিহিত করে তুরস্ক।
প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি খাতে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা থাকলেও ইউক্রেনের কাছে অত্যাধুনিক ড্রোন বিক্রির পাশাপাশি আরও আস্ত্র সরবরাহের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে তুরস্ক, যা ক্ষুব্ধ করেছে মস্কোকে।
তুর্কি কর্মকর্তারা স্পষ্ট জানিয়েছ দিয়েছেন, ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও ঐক্যের প্রতি সব সময় সমর্থন অব্যাহত রাখবে তুরস্ক।
এর আগে, তুরস্ক রাশিয়ার সিরিয়া ও লিবিয়া সংক্রান্ত নীতিরও বিরোধিতা করেছিল। এছাড়া, ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল এবং ২০০৮ সালে জর্জিয়ার দুই অঞ্চলকে স্বীকৃতি দেওয়ারও বিরোধিতা করেছিল দেশটি।
- সূত্র: ডেইলি সাবাহ