ইউক্রেন সংকট: ২০০৮ সালের পর এবারই তেলের দাম সর্বোচ্চ
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার যুদ্ধের প্রভাবে এবার বাড়লো তেলের দাম।
এর আগে ২০০৮ সালে তেলের দাম ছিল সর্বোচ্চ।
ব্রেন্ট ক্রুডের প্রতি ব্যারেলের দাম ১৩০ ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩৯ ডলার।
এছাড়া, ধস নেমেছে এশিয়ার শেয়ার বাজারেও। সোমবার জাপানের নিক্কেই এর শেয়ার কমেছে ২.৭ শতাংশ, এবং হংকংয়ের হ্যাং সেং এর শেয়ার কমেছে ৩ শতাংশ।
রোববার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, বাইডেন প্রশাসন এবং তার মিত্ররা রাশিয়ার তেল সরবরাহের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করছে।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেন, "হাউস বর্তমানে শক্তিশালী আইনের খোঁজ করছে। এমন কোনো আইন, যা বিশ্ব অর্থনীতি থেকে রাশিয়াকে আরও বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে।"
রাশিয়ান তেলের উপর নিষেধাজ্ঞা আসলে তা বিশ্ব অর্থনীতিতে বেশ বড় প্রভাব ফেলবে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্ববাজারে তেলের ঘাটতির আশঙ্কা থাকায় গত সপ্তাহে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ২০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।
বিশ্বব্যাপী ভোক্তারা সাম্প্রতিক দিনগুলিতে খরচ লাফিয়ে দেখেছেন কারণ তারা পাইকারি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রভাব অনুভব করছেন।
রোববার, আমেরিকান অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, পাম্পে মার্কিন পেট্রোলের দাম গত সপ্তাহে ১১ শতাংশ বেড়েছে। ২০০৮ এর জুলাইয়ের পর এই হার সর্বোচ্চ।
আরএসি অনুসারে, যুক্তরাজ্যে পেট্রোলের গড় দাম লিটার প্রতি বেড়েছে ১.৫ পাউন্ড।
এদিকে, ইউক্রেনের সংঘাতের মধ্যে গ্যাসের দাম বাড়তে থাকায় যুক্তরাজ্যের বার্ষিক গৃহস্থালির জ্বালানি বিল ৩ হাজার পাউন্ডে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যে গ্যাসের দাম রেকর্ড স্তরে পৌঁছেছে। রাশিয়ার সরবরাহ কমতে পারে এমন আশঙ্কা থাকায় বাড়ছে দাম।
রোববার, এনার্জি জায়ান্ট 'শেল' ইউক্রেন আক্রমণ সত্ত্বেও রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল কেনার সিদ্ধান্তকে রক্ষা করেছে।
কোম্পানিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ছাড় দেওয়া দামে জ্বালানি কেনার সিদ্ধান্ত ছিল 'কঠিন'।
শুক্রবার রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের একটি কার্গো কেনার কথাও জানিয়েছে তারা। তবে 'আর কোনো বিকল্প ছিল না' বলে জানায় তারা।
- সূত্র: বিবিসি