সৈকতে গোসল করতে নেমে শিক্ষার্থী নিহত
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে গোসল করতে গিয়ে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে; এছাড়াও মুমূর্ষু অবস্থায় আরেকজনকে উদ্ধার করেছে লাইফগার্ড কর্মীরা।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, শুক্রবার সকাল ১০টায় কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটেছে।
মারা গেছে রামু উপজেলার ফতেখাঁরকূল ইউনিয়নের তেচ্ছিপুল এলাকার শামশুল আলমের ছেলে সাহেদ হোসেন বাপ্পী (২০)। বাপ্পী রামু সরকারি ডিগ্রী কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
একই এলাকার আবুল হাশেমের ছেলে মোহাম্মদ মুসাকে (২১) উদ্ধার করা হয়েছে। সে কক্সবাজার সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
নিহত শিক্ষার্থীর বন্ধুদের বরাতে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সকালে রামু উপজেলার তেচ্ছিপুল এলাকা থেকে ছয় বন্ধু মিলে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে আসে। সৈকতে ফুটবল খেলার পর বন্ধুরা মিলে সাগরে গোসলে নামে। কিছুক্ষণ পর সাঁতার না জানা তিন বন্ধু উঠে এলেও অপর তিনজন টিউব নিয়ে গোসলরত ছিল।
"গোসলের একপর্যায়ে টিউব উল্টে দুই বন্ধু সাগরে ভেসে যেতে থাকে। এসময় মোহাম্মদ রিফাত নামের এক বন্ধু সৈকতে দায়িত্বরত লাইফগার্ড কর্মীদের অবহিত করে।"
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, "কর্মীরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক জেট স্কি ও রেসকিউ বোট নিয়ে একজনকে উদ্ধার করলেও অপরজনের খোঁজ পাননি। সাগরের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুজির ৪০ মিনিট পর পানিতে ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজ থাকা ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হয়।"
সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় দায়িত্বরত সী সেইফ লাইফ গার্ডের ইনচার্জ ওসমান গনি বলেন, "সাগরে গোসলে নেমে দুই যুবক ভেসে যাওয়ার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লাইফগার্ড কর্মীরা তাৎক্ষণিক উদ্ধার অভিযানে নামে। তারা জেট স্কি ও রেসকিউ বোট নিয়ে একজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পরে ঘটনার ৪০ মিনিটি ধরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজির পর পানিতে ভাসমান অবস্থায় অন্যজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয়।"
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আশিকুর রহমান বলেন, "সকালে দুইজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে একজনের হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে।"
নিহতের মৃতদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ।