চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে সিএন্ডএফ এজেন্টদের দিনব্যাপী ধর্মঘট
মঙ্গলবার (৭ জুন) সকাল ৯ টা থেকে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে দিনব্যাপী ধর্মঘট পালন করছে চট্টগ্রাম ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।
কাস্টমস এজেন্ট লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০২০ এবং পণ্য চালান শুল্কায়নে এইচএস (হারমোনাইজড সিস্টেম কোড) এবং সিপিসি (কাস্টমস প্রসিডিউর কোড) নির্ধারণে প্রণীত আইন বাতিলের দাবিতে একযোগে দেশের সব শুল্ক স্টেশনে ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বানে চট্টগ্রামেও ধর্মঘট পালিত হচ্ছে।
এ কারণে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে বন্ধ আছে শুল্কায়ন কার্যক্রম। বিল অব এন্ট্রি, বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল, শুল্ক পরিশোধ সংক্রান্ত ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু টিবিএসকে বলেন, "চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়েছি আমরা। আজ সারাদিন আমদানি রপ্তানি পণ্য চালানের শুল্কায়ন সংক্রান্ত সিএন্ডএফ এজেন্টদের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।"
"সারা দেশের সব শুল্ক স্টেশনের পাশাপাশি চট্টগ্রামেও আমরা পূর্ণ দিবস ধর্মঘট পালন করছি।"
এর আগে গত ১৮ মে সিএন্ডএফ এজেন্টদের লাইসেন্স নবায়নের দাবীতে সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত কর্মবিরতি কর্মসূচী পালন করে সিএন্ডএফ এজেন্টরা।
চট্টগ্রাম কাস্টমসে প্রায় ৩ হাজার সিএন্ডএফ এজেন্ট আছে। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে প্রতিদিন ৭ হাজার বিল অব এন্ট্রি এবং বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল হয়। এরমধ্যে আমদানির পণ্যের জন্য ২ হাজার বিল এব এন্ট্রি এবং রপ্তানির পণ্যের জন্য ৫ হাজার বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল করা হয়।
এছাড়া দৈনিক প্রায় দেড়শ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করে কাস্টম হাউজ।