দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞাসহ আরও যে শাস্তি পেলেন হারমানপ্রিত
অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের দায়ে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন ভারত নারী জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হারমানপ্রিত কর। দুটি আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে এই শাস্তি পেয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যেকার ওয়ানডে সিরিজ শেষ হয়েছে ১-১ সমতায়। সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে টানটান উত্তেজনার পর টাই হয়। ফলে দুই দল ট্রফি ভাগাভাগি করে নেয়।
আইসিসির আচরণবিধির লেভেল–২ পর্যায়ের অপরাধ করেছেন হারমানপ্রিত। এর আগে কোনো নারী ক্রিকেটারই এই পর্যায়ের অপরাধ করেননি। এ ছাড়া ম্যাচের পর বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গে তার আচরণও ছিল দৃষ্টিকটু।
স্টাম্প ভাঙা ও আম্পায়ারিংয়ের সমালোচনা করায় হারমানপ্রিতকে ম্যাচ ফির ৭৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। সঙ্গে ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন তিনটি। ৫০ শতাংশ জরিমানা ও তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে ব্যাট দিয়ে স্টাম্প ভাঙায়। বাকি ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে আম্পায়ারিংয়ের সমালোচনা করায়।
এই শাস্তি মেনে নিয়েছেন হারমানপ্রিত কর। যার কারণে কোনো আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।
মূলত ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান এবং সংবাদ সম্মেলনে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রিত কর আম্পায়ারিংয়ের তুমুল সমালোচনা করেন। ভারতের ইনিংসের ৩৪ তম ওভারে হারমানপ্রীতকে এলবিডব্লু আউটের সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়ার তানভীর আহমেদ। ভারতের অধিনায়ল ব্যাট দিয়ে মেরে স্টাম্পই উপড়ে ফেলেন। একটি স্টাম্প উপড়ে অনেক দূরে গিয়ে পড়ে!
সেখানেই থামেননি তিনি। ক্রিজ ছেড়ে আম্পায়ারকে কিছু বলতে বলতে ড্রেসিংরুমে যান। গ্যালারির দর্শকদের উদ্দেশেও কিছু বলতে দেখা যায় তাকে। আঙুল উঠিয়ে দেখান 'থাম্বস আপ'।
টাই হওয়া ম্যাচে ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রিতকে এলবিডব্লু আউট দিয়ে যেন ভুলই করলেন আম্পায়ার তানভীর আহমেদ! আউট হওয়ার পর ব্যাট দিয়ে উপড়ে ফেললেন স্টাম্প। খেলা শেষে আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্ন, আর ট্রফি ভাগাভাগির ফটোসেশনে এমন বাক্য উচ্চারণ করলেন, যার কারণে বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিকে দল নিয়ে সেখান থেকে সরেই যেতে হলো!
ম্যাচ শেষে আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্ন তুলে হারমানপ্রিত বলেছেন, 'আমি মনে করি অনেক কিছু শেখার ছিল এই ম্যাচ থেকে। ক্রিকেট ছাড়াও, যে মানের আম্পায়ারিং হয়েছে তাতে আমরা খুবই বিস্মিত। আমরা এরপর যখন বাংলাদেশে আসব, জেনেই আসব যে এই ধরনের আম্পায়ারিংয়ের মুখোমুখি হতে হবে। ঠিক সেভাবেই আমাদের খেলতে হবে।'