৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ
৪১ রানের উদ্বোধনী জুটি। দ্বিতীয় উইকেট পতনের মাঝেও থাকলো ব্যবধান। কিন্তু সেই ব্যবধান টেস্টের জন্য একেবারেই যৎ সামান্য। তবু সেটা মন্দ ছিল না। ১০০ পেরনোর পর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লো বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টেও ঠিক পথ খুঁজে পায়নি বাংলাদেশের ব্যাটিং।
সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ ৫ উইকেট হারিয়ে অন্ধকারে পড়ে গেছে। একে একে ফিরে গেছেন মাহমুদুল হাসান জয়, তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, নাজমুল হোসেন শান্ত ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
১২৫ রানেই নেই ৫ উইকেট। এখান থেকে দলকে আলোর পথে নেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন লিটন কুমার দাস ও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান। ৩৯ ওভার শেষে ৫ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৩৪ রান। লিটন ১৬ ও সোহান ৫ রানে ব্যাটিং করছেন।
শুরু দেখে মনে হয়েছিল প্রথম টেস্টের ট্রমা থেকে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে তামিমকে দারুণ সাবলীল দেখিয়েছে। জয় থিতু হতে না পারলেও মানিয়ে নিচ্ছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত পারেননি তরুণ এই ব্যাটসম্যান। দলীয় ৪১ রানে অভিষিক্ত অ্যান্ডারসন ফিলিপের বলে উপড়ে যায় তার স্টাম্প, ১০ রান করেন তিনি।
দারুণ খেলতে থাকা তামিম অনেক বাইরের বল খেলতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় পাঁকান। আলজারি জোসেফের বলে ব্যাট চালালে জার্মেইন ব্ল্যাকউডের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ফেরার আগে ৬৭ বলে ৯টি চারে ৪৬ রান করেন অভিজ্ঞ এই ওপেনার।
তৃতীয় উইকেটে জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত ও ৮ বছর পর টেস্ট খেলতে নামা এনামুল হক বিজয়। চাপ সামলে ভালোই খেলছিলেন এ দুজন। তাদের ৩৯ রানের জুটি ভাঙে বিজয়ের বিদায়ে। ফুট ওয়ার্কের দীনতায় ফিলিপের বলে এলবিডব্লিউ হন ৩৩ বলে ২৩ রান করা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
এরপর শান্তও আর টিকতে পারেননি। পরের ওভারেই কাইল মেয়ার্সের শিকারে পরিণত হন তিনি। মেয়ার্সের দারুণ এক লেংন্থ বলে এলবিডব্লিউ হন ২৬ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দ্রুত রান তুলে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেও পারেননি। জেডেন সিলসের বলে এনসাইড এজে বোল্ড হন তিনি।